অধিকাংশ সময় বলের দখল রেখে আক্রমণ শানিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। কিন্তু মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত জালের দেখা। অবশেষে লাওতারো মার্তিনেসের একমাত্র গোলে কষ্টের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই গোলে সহায়তা করে আরেকটি রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি।
বুয়েন্স আইরিসের লা বম্বোনেরায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সফরকারী পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে লিওনেল মেসির বাড়ানো বলে গোলটি করেন মার্তিনেস।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির এটি ৫৮তম অ্যাসিস্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সমান সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড এতদিন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের লেন্ডন ডনোভানের দখলে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বছরের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠ বুয়েনস আয়ার্সে এ জয় পায় স্ক্যালোনির দল।
এদিন পেরুর বিপক্ষে একাদশ সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। দলের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়ায় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সিমিওনেও দলে জায়গা পান। তবে পেরুর বিপক্ষে মাঠে তার কোনও অবদান ছিল না। ম্যাচের প্রথমার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি মেসিরা।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিট ও ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে দারুণ এক গোল করে দলকে লিড এনে দেন লাউতারো মার্টিনেজ। ডি-বক্সের বাঁ-দিক থেকে মেসির ক্রস হাফ ভলিতে গোল করেন তিনি। এর পরেও একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি মেসি-মার্টিনেজরা। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টাইনরা।
পেরুর বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৩৭৯তম এসিস্ট করে রেকর্ড করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসের ৫৮টি এসিস্ট করলেন তিনি। এতে যৌথভাবে জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড করেছেন তিনি। এর আগে মেসির সমান এসিস্ট করেছেন আমেরিকার লান্ডন দোনোভান।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কনমেবল অঞ্চলে ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ