শারজায় আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের পর আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও রশিদ খানদের পেছনে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষ হতেই র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। সেখানে জায়গা বদল করেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
আফগানরা ৯ থেকে উঠে এসেছে ৮–এ, বাংলাদেশ ৮ থেকে নেমে গেছে ৯–এ। অথচ ২০২২ সালে বাংলাদেশে আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছিল তিন ধাপ পিছিয়ে থেকে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে ৯২ রানে ম্যাচ জেতে আফগানিস্তান, পরের ম্যাচে ২৫২ রান তুলে বাংলাদেশ জিতে যায় ৬৮ রানে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও মাহমুদুল্লাহর ৯৮ ও অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের ৬৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ তোলে ২৪৪ রান। যদিও সাবলীল ব্যাটিংয়ে সেই রান সহজেই তাড়া করে স্বাগতিকরা। এমন হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মিরাজ।
ম্যাচ শেষে হারের কারণ জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘কঠিন ছিল। ছেলেরা ভালো করেছে। রিয়াদ ভাই ও আমি একটা জুটি করতে পেরেছি। বোলাররা অনেক চেষ্টা করেছে। তবে আমরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারিনি। আগের দুই ম্যাচে দেখলাম পরের দিকে বল ভালো স্পিন করেছে। কিন্তু আজকে মনে হলো কায়াশার কারণে বল সহজেই ব্যাটে যাচ্ছিল। এজন্য আফগানদের ব্যাট করা সহজ হয়। আজ আমরা যেমন ভেবেছিলাম কুয়াশার কারণে তা হয়নি।’
মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘আমরা গত দুই ম্যাচে দেখেছি উইকেটে যথেষ্ট স্পিন আছে। এ জন্যই আমরা প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে শিশির আসায় বল তুলনামূলকভাবে ভালো ব্যাটে আসছিল। কৃতিত্ব ওদের। ওরা খুব ভালো খেলেছে। বিশেষ করে গুরবাজ ও ওমরজাই। আমরা মাঝের ওভারে উইকেট নিইনি। আমাদের ওই সময় উইকেট নেওয়া উচিত ছিল। সেটা করতে পারলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-২০ খেলবে বাংলাদেশ। ২২ নভেম্বর শুরু টেস্ট সিরিজ। চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক শান্ত খেলতে পারবেন না সেই টেস্ট সিরিজেও, নেতৃত্ব দেবেন মিরাজ। আঙুলের চোটে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিমও। অবসরের ঘোষণা দেয়া সাকিব আল হাসানও নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও তাই বাংলাদেশের অপেক্ষায় কঠিন পরীক্ষা।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ