লিওনেল মেসির নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলল ইন্টার মায়ামি। এগিয়েও গেল তারা, কিন্তু লিড ধরে রাখতে পারল না এবারও। মেসির গোলে সমতায় ফিরলেও পরে আবারও গোল হজম করে মেজর লিগ সকারে প্লে অফের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে জেরার্দো মার্তিনোর দল।
ইন্টার মায়ামি নিয়মিত মৌসুমে শীর্ষ দল হিসেবেই প্লে-অফে প্রবেশ করে এবং টাই-ব্রেকিং তৃতীয় ম্যাচের জন্য হোম-ফিল্ড সুবিধাও অর্জন করে। প্রথম ম্যাচ ২-১ ব্যবধানে জেতার পর, ইন্টার মায়ামি একই স্কোরে দ্বিতীয় ম্যাচটি হারে, যা চূড়ান্ত ম্যাচকে এক উত্তেজনাপূর্ণ রূপ দেয়। দুই দল শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয় এবং ম্যাচে একের পর এক কর্নার কিকও লক্ষ্য করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ এ লড়াইতে বাংলাদেশ সময় আজ রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে আটলান্টার কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে মায়ামি। এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের সেমিফাইনালে চলে গেল আটলান্টা।
প্লে-অফের লড়াইতে আটলান্টার বিপক্ষে প্রথম লড়াইয়ে ২-১ গোলে জিতেছিল মায়ামি। ২ নভেম্বর আগের ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ আগেই ইস্টার্ন কনফারেন্স থেকে শেষ চারে চলে যেত তারা। তবে মেসিরা হারলেন টানা দুই ম্যাচ, নিলেন বিদায়। এ হারে চলতি মৌসুমও শেষ হয়ে গেল মেসির।
এদিন শুরুটা ভালো ছিল মায়ামির। ১৭ মিনিটে মাতিয়াস রোহাসের গোলে এগিয়ে যায় তারা। নিজেদের মাঠে ভরপুর গ্যালারির সামনে উল্লাস লম্বা হয়নি। ১৯ ও ২১ মিনিটে পর পর দুই গোল করেন জামাল থিয়ারে, লিড নেয় আটলান্টা।
বিরতির পর দলের সেরা তারকা মেসিই দলকে ফেরান সমতায়। ৬৫ মিনিটে মার্সেলো ভাইগান্টের ক্রস থেকে মাথা লাগিয়ে গোল পান তিনি। কিন্তু সমতা টিকে থাকে কেবল ১১ মিনিট। ৭৬ মিনিটে বারতোজ সিলৎসের গোল নীরব করে দেয় গোটা গ্যালারি, আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মেসিদের।
তবে কেবল গোলে আটকে ছিলেন না ‘এলএমটেন’। গোলের সাত সাতটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি, যা কি না দুই দলের বাকি যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। অথচ লুইস সুয়ারেজ পাঁচটা শট নিয়েও নিজের নাম তুলতে পারেনি স্কোরবোর্ডে।
তাতেই ঘটেছে বিস্ময়কর ঘটনা, সবাইকে চমকে দিয়ে ইন্টার মিয়ামিকে বিদায় বলে দিয়েছে আটলান্টা ইউনাইটেড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে কিংবা তৃতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা সেটা অবিশ্বাস্য। প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালীই হোক, লড়াইয়ের আগে হার না মানার শিক্ষা দিয়ে গেল দলটা।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ