ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আফগানদের বিপক্ষে সিরিজে সমতা ফেরালো বাংলাদেশ

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৭ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৭

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে টাইগাররা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩৯ বল হাতে থাকতেই ১৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। এতে ৬৮ রানের জয় পায় টাইগাররা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানরা। ২ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলানো চেষ্টা করেন সেদিকুল্লাহ আতাল।

১৭তম ওভারে নাসুম আহমেদকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক শান্ত। আর এক বছর পর বল করতে এসে প্রথম বলেই সেদিকুল্লাহকে আউট করে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৫১ বলে ৩৯ রান করেন সেদিকুল্লাহ। এতে দলীয় ৭০ রানে দুই উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

চতুর্থ উইকেটে হাশমতুল্লাহ শাহিদীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলছেন রহমত শাহ। ৭৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ২৯তম ওভারের শেষ বলে হাশমতুল্লাহকে (১৭) সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। পরের ওভারের প্রথম বলে আজমতুল্লাহকে বোল্ড করেন নাসুম। তিন বল পরেই রহমত শাহ রান আউট হলে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানিস্তান।

গুলবাদিন নাইবকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নবী। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি গুলবাদিন। ২৪ বলে ২৬ রান করে শরিফুলের বলে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।

৩৭ ওভারে নবীকে বোল্ড করে টাইগারদের জয়ের পথে এগিয়ে নেন মিরাজ। এরপর নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে (৪), রশিদ খান ১৪ এবং আল্লাহ গজানফর ১ রানে আউট হলে ৩৯ বল হাতে থাকতেই ১৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। এতে ৬৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ। এ ছাড়াও মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। আর শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৭ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এতে দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তিনে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সঙ্গ নিয়ে রান করতে থাকেন শান্ত। তারা ৭১ রানের জুটিতে গড়েন। কিন্তু ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন সৌম্য। ১৯তম ওভারে পঞ্চম বলে রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই টাইগার ওপেনার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৭৫ বলে ফিফটি তুলে নেন নাজমুল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের ব্যাটে ভর করে ১৫০ রান পার করে টাইগাররা। এরপর আর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। ৩৩ বলে ২২ রান করে আউট হন এই টাইগার অলরাউন্ডার।

এদিকে বল ডট দিলেও পিচে থেকে লড়াই করেছিলেন শান্ত। কিন্তু ১১৯ বলে ৭৯ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন টাইগার অধিনায়ক। ৯ বলে ৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও। এতে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ।

এরপর অষ্টম উইকেটে জুটি গড়ে দলের ইনিংস মেরামত করেন অভিষিক্ত জাকের আলী এবং এক বছর পর দলে ফেরা নাসুম আহমেদ। ২৪ বলে ২৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে আউট হন নাসুম। শেষ পর্যন্ত তাসকিনের ২ রান এবং জাকেরের ২৭ বলের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। এ ছাড়াও রশিদ খান এবং আল্লাহ গজানফর দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ