দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষেই জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়বেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরেই নতুন অধিনায়কের তালিকায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয় ও তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত শান্তর নেতৃত্বেই আফগানিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তিন ফরম্যাটের দায়িত্বে শান্ত নাও থাকতে পারেন। ফলে নেতৃত্ব নিয়ে আশা রাখতেই পারেন তাসকিন-মিরাজরা। গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তাসকিনও জানান, বোর্ড চাইলে অধিনায়ক হতে প্রস্তুত তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে শনিবার (২ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেখ ছাড়েন বাংলাদেশ দলের একাংশ। যেখানে ছিলেন পেসার তাসকিনও।
সেখানে নেতৃত্ব নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেন, ‘দেখুন, এগুলো পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত। বোর্ড যদি চায় তাহলে কেন না।’
অধিনায়কের তালিকায় তাসকিনের নামটা যোগ করেছিলেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ-ই। শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার খবরের মাঝে তাসকিন ও মিরাজকে সম্ভাব্য অধিনায়কের তালিকায় রেখেছিলেন তিনি।
ঘটনার শুরু সদ্য শেষ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই। দলের একের পর এক হার আর নিজের বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনার মুখে তিন সংস্করণ থেকেই নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বোর্ডকে জানিয়েছিলেন শান্ত। শোনা যাচ্ছিল, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে চট্টগ্রাম টেস্ট চলার মাঝেই এ নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন প্রধান নির্বাচক। ধারণা করা হচ্ছিল, সিরিজ শেষেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শান্তকে অধিনায়ক রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করে বিসিবি।
তবে তিন ফরম্যাটের দায়িত্বে শান্ত নাও থাকতে পারেন। ৫০ ওভারের ম্যাচে তিনি অধিনায়ক থাকলেও টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে দেখা মিলতে পারে নতুন কাউকে। চোটপ্রবণ তাসকিনের সাদা পোশাকের নেতৃত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সেক্ষেত্রে হয়তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব পেতে পারেন তিনি। অবশ্য সেখানে তাওহীদ হৃদয়কেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার পরের সময়টা খুব বাজে কাটছে বাংলাদেশ দলের। ভারত সফরে গিয়ে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও দুই ম্যাচের টেস্টে ধবলধোলাই। তবে আফগান সিরিজে সে খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার বার্তা দিয়েছেন তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘ প্রত্যেক সিরিজে তো আমরা সবসময় আশা নিয়েই যাই। দুর্ভাগ্যক্রমে হয়তো সবশেষ কয়েকটা ম্যাচ ভালো হয়নি। আবার স্বপ্ন নিয়েই যাচ্ছি, ভালো কিছু হবে। আশা করি এই সিরিজে ভালো কিছু করে আমাদের এই খারাপ সময়টা একটু ভালো হবে, ইনশাআল্লাহ।’
শারজাহ স্টেডিয়ামে ৬ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে সিরিজ। ৯ ও ১১ নভেম্বর পরের দুটি ম্যাচও এই ভেন্যুতে। যেখানে গত সেপ্টেম্বরে প্রোটিয়াদের ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল রশিদরা। ফলে চ্যালেঞ্জ থাকছে টাইগারদের জন্যেও। সেটা মানেন তাসকিনও। তবে আত্মবিশ্বাসী টাইগার পেসার।নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ