নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই কীর্তির প্রশংসা চারদিক থেকেই পাচ্ছে সাবিনা খাতুনের দল। বিসিবির পর এবার আসিফ মাহমুদ সজীবের নেতৃত্বাধীন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাদের এক কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালকে হারিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দেশে ফিরেছে সাবিনা খাতুন বাহিনী। ২০২২ সালের মতো বাফুফে এবারও তাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দিয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে নারী ফুটবলাররা বাফুফে ভবনে পৌঁছান। সেখানেই আসিফ তাদের হাতে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশে ফেরার পর তাদের সংবর্ধনা দিতে আমি বাফুফেতে এসেছি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দেখা করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। আগামী শনিবার সকালে তিনি তার বাসভবনে নারী ফুটবল দলকে দাওয়াত দিয়েছেন। জাতিকে সুন্দর এই বিজয় উপহার দেয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।’
আসিফ আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ যেভাবে তাদেরকে বরণ করেছে, এ জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে কিছু অভিযোগ আছে, বেতন বৈষম্য। এ বিষয়ে বিসিবি ও বাফুফের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুতই সমাধান করব। বাংলাদেশের নারীরা যেভাবে আন্তর্জাতিক ট্রফি ছিনিয়ে এনেছে, আরও ট্রফি ছিনিয়ে আনতে পারবে বলে আশাবাদী।’
এর আগে সাবিনা খাতুনদের এমন সাফল্যে দলের প্রত্যেক ফুটবলারকে ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বুধবার রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের হাজার হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ৫২ মিনিটে মনিকা চাকমার গোলের মিনিট দুয়েকের মধ্যেই নেপাল সমতায় ফিরে। ৮১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। সতীর্থের কাছ থেকে কর্নার কিক-জোনে বল ঋতুপর্না চাকমা। তাতে টেক্কা দিচ্ছিলেন নেপালের দুই প্লেয়ার। সেখান থেকেই শট নেন ঋতু। নেপাল গোলরক্ষক হাত লাগাতে সক্ষম হলেও বলের গতিরোধ করতে পারেননি, বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। ওই গোলই বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ