ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

২২ ওভারেই বাংলাদেশকে অনায়াসে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশনার সময়: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২১

প্রথম ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রতিপক্ষের হাতে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই নিয়ন্ত্রণ আর কখনোই নিজেদের দিকে আনতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্ত দল। দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ লড়াই করলেও প্রোটিয়াদের কঠিন চ্যালেঞ্জ দেওয়া যায়নি। নিজেদের কন্ডিশনে সহায়ক উইকেট বানিয়ে উল্টো নিজেরাই তাতে হয়েছে কুপোকাত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ম্যাচের ফল এসে গেছে। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্রেফ ১০৬ রানের লক্ষ্য পেরুতে ২২ ওভারের বেশি খেলতে হয়নি সফরকারী দলের।

মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩০৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাটিং করেছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি। ৪২ রানের সেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের দশম ওভারের পঞ্চম বলটি ভালো লেংথে করেছিলেন তাইজুল। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেশ খানিকটা টার্ন করে মার্করামের স্টাম্প উপড়ে দেয় বল। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ২০ রান করেছেন মার্করাম।

আরেক ওপেনার জর্জিকেও ফিরিয়েছেন তাইজুল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এ তরুণ থেমেছেন ৪১ রানে। এরপর ডেভিড বেডিংহামও তাইজুলের ঘূর্নিতেই আটকে গেছেন। লিটনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ১২ রান।

বেডিংহাম ফেরার পর বাকি পথটা নিরাপদেই পাড়ি দিয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও রায়ান রিকেলটন। স্টাবস ৩৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

এর আগে আজ দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার করা ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন মিরাজ। পরের বলে এদিন প্রথমবারের মতো স্ট্রাইক নেন নাঈম হাসান। নিচু হয়ে আসা ইনসুইং ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করেছেন নাঈম। বল সরাসরি তার পায়ে আঘাত হানলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ১৬ রান। এই উইকেট নিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন রাবাদা।

দশে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। ৭ বল খেলে ৭ রান করেছেন তিনি। মুল্ডারের বলে স্ট্রাবসের হাতে ধরা পড়েছেন তাইজুল।

শেষ উইকেট জুটিতে দ্রুত রান তোলায় মন দেন মিরাজ। তবে ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছেন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ৯৭ রানে। দুর্দান্ত খেলে কাছাকাছি এসেও সেঞ্চুরি না পাওয়াটা নিশ্চিতভাবেই পুড়াবে মিরাজকে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ