বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফেভারিট হিসেবেই সাফ চ্যাম্পিয়ন শিপে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছেন সাবিনা খাতুনরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে সেমিফাইনালের কঠিন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য।
কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আধিপত্যই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ৪ শটের বিপরীতে ১৬ শটই প্রমাণ।
প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। ফলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ ছিল সহজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই সেমিফাইনালে উঠতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র করাতে বিপাকে পড়েছে সাবিনারা। সেমিফাইনালে উঠতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে।
শুরুতেই বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের ভুলে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বাংলাদেশের বক্সে শট নেয় পাকিস্তান। যদিও সুহা আমিনের শট বক্সের ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটে পাকিস্তানের আরও একটি শট বাম দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। ওই আক্রমণ থেকে খেলায় প্রথমবার পাকিস্তানের রক্ষণে কাঁপন ধরায় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা সেই আক্রমণ আটকে দেন।
পঞ্চম মিনিটে কোহাতি কিসকুর বদৌলতে বড় বিপদের হাত থকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে বল পেয়ে যান পাকিস্তানের ফরোয়ার্ড নাদিয়া। অনেকটা একা গোলরক্ষককে পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার আগে পেছন থেকে এসে দারুণ স্লাইডে বল ক্লিয়ার করেন কোহাতি। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ।
তবে বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে খেলার ৩২ মিনিটে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। বক্সের নিজেদের অর্ধ থেকে জামিনা সামিন মালিককে লং পাস দেন রামিন ফরিদ। তবে বল পেয়েছিলেন সিউলি আজিম। কিন্তু এই ডিফেন্ডার বল পায়ে লাগালেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। তাকে ও আফিদা খন্দকারকে টপকে আলতো টোকায় জালে বল জড়ান পাকিস্তানের সামিন মালিক।
এই ড্রতে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা বেঁচে থাকল। পরের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেলেই নকআউট নিশ্চিত হবে সাবিনাদের।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ