রাত পোহালেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে নিজেদের দল সাজাতে ড্রাফটে অংশ নেবে বিপিএলের সাত দল। তবে ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তি এবং আগের আসর থেকে কিছু খেলোয়াড় ধরে রাখার মাধ্যমে দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
নির্ধারিত সূচি অনুসারে আগামী ২৭ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। কিন্তু মাঠে নামার আগে দল গোছানোর লড়াই শুরু করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
এবারের আসরে ড্রাফটের আগেই একজন ক্রিকেটারকে সরাসরি চুক্তি এবং দুজনকে রিটেইন করার সুযোগ পেয়েছে পুরাতন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। আর সরাসরি চুক্তিতে তিনজন ক্রিকেটারকে দলে নেয়া সুযোগ পেয়েছে নতুন তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে। আর বাকি ক্রিকেটারদের ড্রাফট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনকৃত ১৯৮ দেশি ক্রিকেটারদের তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বিসিবি। যেখান থেকে ১৮ জন ক্রিকেটার ইতোমধ্যে দল পেয়ে গেছেন। বাকি ১৮০ জন ক্রিকেটারের ভাগ্য নির্ভর করছে ড্রাফটের উপর।
আর ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটার নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি চুক্তিকে দল পেয়েছেন। তাদেরকে বিসিবি ৫টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ২০ জনকে, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩৮ জন, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৬৬জন, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ১৩৫ জন এবং ১৮১ জনকে রাখা হয়েছে ‘ই’ ক্যাটাগরিতে।
এবার বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ডলার বা বর্তমান মূল্য অনুযায়ী সাড়ে ৮৩ লাখ টাকা, ক্রিকেটারের মূল্য ৫০ হাজার ডলার, ‘সি’ ক্যাটাগরি মূল্য ৩০ হাজার, ‘ডি’ ক্যাটাগরি মূল্য ২৫ হাজার ও ‘ই’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাদের ১৫ হাজার ডলার করে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে দেশি ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ৬০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরি ৬০ লাখ, ‘বি’ ক্যাটাগরি ৪০ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরি ২৫ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরি ২০ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরি ১৫ এবং ‘এফ’ ক্যাটারগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা ১০ লাখ টাকা করে পাবেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ