ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে ভারতের রেকর্ড

প্রকাশনার সময়: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৬

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে স্বাগতিক ভারত। প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশকে ২৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিকরা। একের পর এক চার ছক্কার রেশে কেঁপেছে হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সঞ্জু-সুরিয়াকুমারের শতরানের জুটিতে ইনিংসের শুরু থেকেই বিশাল সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে মেন ইন ব্লু’রা। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টস জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক ভারত।

সঞ্জু-সুরিয়াকুমারের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান। এদিন পাওয়ার প্লেতে ভিন্ন চার বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক শান্ত। তবে স্বাগতিক ব্যাটারদের মারমুখি ভঙ্গিমায় খেই হারান প্রত্যেকেই।

ইনিংসের শুরুতে মাহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। প্রথম ওভারে ৭ রান দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বল ভালো করলেও তাসকিনের শেষ চার বলে টানা চারটি চার মারেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে শুরুতেই অভিষেক শর্মাকে বিদায় করেন তানজিম হাসান সাকিব। ব্যক্তিগত ৪ রানে মাহেদী হাসানের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার। ক্রিজে আসেন স্বাগতিক অধিনায়ক সুরিয়াকুমার। তিনিও ব্যাট হাতে মারমুখি ভূমিকায় আবির্ভূত হন।

এরপরের গল্পটা সঞ্জু-সুরিয়াকুমারের। একের পর এক চার-ছক্কায় দুজন মিলে দিশেহারা করে ফেলেন টাইগার বোলার-ফিল্ডারদের। দুজন মিলে গড়েন ১৭৩ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১১১ রানে পারভেজ হোসেন ইমনের বলে মোস্তাফিজের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন সঞ্জু স্যামসন।

সঞ্জুর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন সুরিয়াকুমারও। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে মাহমুদউল্লাহর বলে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর নতুন জুটি গড়েন পরাগ-পান্ডিয়া। এই দুজন মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি।

হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪৭ ও ৩৪ রান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ২৯৭ রানে থামে ভারতের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে ৩টি উইকেট তুলে নেন তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ।

নয়াশতাব্দী/ইএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ