বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম তো বটেই, আলোচিত ও বর্ণিল এক চরিত্র সাকিব আল হাসান। বাইশ গজে দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন তিনি। তবে রাজনীতির ক্যারিয়ারটা ক্রিকেটের মতো দাপুটে হলো না বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। রাজনীতিতে নাম লেখানোই এখন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে দেশে ফিরতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) কিছু শর্ত দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
কানপুর টেস্ট খেলার আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। আগামী অক্টোবরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলেই লাল বলের ফরম্যাটকে বিদায় জানাবেন তিনি। তবে নিরাপদে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল দেশে ফিরবেন এই অলরাউন্ডার। তা না হলে, কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টই হবে সাদা পোশাকে তার শেষ ম্যাচ।
আজ সাকিবকে আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের খেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা বলেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভেইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের বলা হয়েছে আমার কী পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।
এ নিয়ে এর মধ্যে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে সাকিব যোগ করেন, এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়।
দেশে ফেরার আগে নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় আছে সাকিবের। নিরাপত্তার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ