২০১৪ সালে ঘরের মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ নারী দল। সিলেটে হওয়ার সবগুলো ম্যাচে হেরে যায় টাইগ্রেসরা। এরপর আরও কয়েকটি আসরে অংশ নিলেও মূল আসরে এখনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এবার সেই ধারা ভাঙতে চান বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আগামী ৩ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যদিও আসরটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। তবে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির জন্য তা সরিয়ে নেওয়া হয় আরব আমিরাতে।
ভেন্যু বদলে যাওয়ার বাংলাদেশকে পরিবর্তন করা হয়েছে কৌশলে। শ্রীলঙ্কায় এ দলের আড়ালে মূলত জাতীয় দলকে পাঠায় বিসিবি। সেখানে স্বাগতিক ‘এ’ দলকে ৪-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আবর আমিরাতের উদ্দেশ্য রওনা দেবে বাংলাদেশ। এর আগে মিরপুরে অফিসিয়াল ফটোসেশনে অংশ নেন ক্রিকেটাররা। পরে মুখোমুখি হন গণমাধ্যেমের। সেখানেই জানান, বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানান টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে খেলছি, বিশ্বকাপেও কয়েকটি আসরে খেলেছি। কিন্তু, এখনও কোনো জয় পাইনি। এবার আমার ব্যক্তিগত ও দলীয় লক্ষ্য অন্তত একটি জয় আদায় করা।’
সেই জয়টিকে অভ্যাসে পরিণত করে সেমিফাইনালে খেলতে চান জ্যোতি, ‘প্রথমত ম্যাচ জিততে চেষ্টা করব। ২০১৪ ছাড়া একটা বিশ্বকাপেও আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে ভালো ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নাই, যদি আপনি ম্যাচ জিততে না পারেন। প্রথমত চাই ম্যাচ জিততে। দ্বিতীয়ত যখন আমরা ফ্লো পাব, আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে দল... অবশ্যই.. সেমিফাইনাল কে না খেলতে চায়।’
এ সময় টাইগ্রেস দলপতি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেভাবেই। আমরা জানি যে আমাদের ক্রিকেটটা যদি এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর হতে পারে না। ওখানে ভালো পারফরম্যান্স করলে শুধু আমরা না, যারা বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলে, বাকি যে মেয়েরা... যারা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে চায় তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই।’
এ দিনে নারী টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচের মাইলফলক থেকে আর মাত্র একটি ম্যাচ দূরে জ্যোতি। ৯৯ ম্যাচ নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া এ উইকেটকিপার-ব্যাটার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে পূরণ করবেন সেই মাইলফরক। তাই তো কিছুটা রোমাঞ্চিত তিনি।
জ্যোতি বলেন , ‘প্রথম ম্যাচ স্পেশাল... তো প্রথম ম্যাচ জিততে চাই। আমার জন্য এটা সব থেকে স্পেশাল। আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য এটা অনেক বড় একটা অর্জন হবে। অবশ্যই.. একজন প্লেয়ার হিসেবে একশ তম ম্যাচ, আমি এখনও জানি না খেলতে পারব কিনা। যদি আল্লাহপাক সুস্থ রাখেন তাহলে তো অবশ্যই খেলব। যদি খেলি, প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকবে যেন জিততে পারি।’
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ