আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। সেই জন্য অধীভুক্ত সংস্থাগুলোতে প্রতিনিধি মনোনয়নের নাম চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাফুফে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ব স্ব সংস্থা সভার মাধ্যমে কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত করে বাফুফেতে পাঠাতে হবে।
বাফুফের নির্বাহী কমিটির মেয়াদ চার বছর। এই চার বছরে অনেক ঘটনাই ঘটে। বাফুফে অনেক লিগ আয়োজন করতে পারে না, আবার অনেক ক্লাব/সংস্থা অংশগ্রহণও করে না। তাই নির্বাচনের আগে বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভা করে কোন কোন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান কাউন্সিলরশিপ পাবে সেই তালিকা চূড়ান্ত করে। বিগত সময়ে এই চর্চা হলেও এবার নির্বাহী কমিটিতে এই সংক্রান্ত কোনো আলোচনাই হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ রাসেল ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলরশিপ তালিকায় নেই।
বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আসন্ন নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণা দেয়ার পর দিন থেকেই কাউন্সিলর চেয়ে চিঠি ও ফরম প্রেরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাফুফে। সাধারণত ক্লাব, জেলা, সংস্থায় কুরিয়ার মারফত এই চিঠি প্রেরণের নিয়ম। তবে কয়েকজন জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাউন্সিলরশিপের চিঠি বাফুফে ভবন থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ, প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, প্রথম বিভাগের সকল ক্লাবের পাশাপাশি সর্বশেষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগের শীর্ষ ৮ ও ৬ ক্লাব বাফুফের নির্বাচনে ভোটাধিকার পায়।
সর্বশেষ এজিএমে নারী লিগের শীর্ষ চার ক্লাবও ভোটাধিকার পেয়েছে। ক্লাব, জেলার পাশাপাশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড, কোচেস অ্যাসোসিয়েশন, রেফারিজ এসোসিয়েশন, মহিলা ক্রীড়া সংস্থারও ভোটাধিকার রয়েছে। স্ব স্ব সংগঠনের মনোনয়ন পাওয়া কাউন্সিলররা বাফুফে নির্বাচনে ভোটাধিকার পান। তাদের ভোটের মাধ্যমেই ২১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হয়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ