ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আসসুন্নাহর ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনে মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশনার সময়: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৪৫

শুরু থেকে বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি বন্যার্তদের জন্য শত শত টন ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। সেই ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বুধবার (২৮ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান আসসুন্নাহ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে মাহমুদউল্লাহসহ তার একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

এর ক্যাপশনে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘আজ (বুধবার) আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম দেখতে এসেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম দেখে তিনি একে আল্লাহর রহমত ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন।’

দেশের সর্বমোট ১১টি জেলা বন্যা কবলিত। কেবল বন্যার্ত মানুষ নয়, এসব এলাকায় আটকে পড়া গবাদি পশুর জন্যও ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন তারা। এবার বন্যার্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্যাংকিতে পানি তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অন্য আরও একটি পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘বাড়িতে পানির পাম্প থাকার পরও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় যারা পানি তুলতে পারছেন না, আমরা জেনারেটর নিয়ে তাদের বাড়িতে যাচ্ছি, পানির ট্যাংক ভর্তি করে দিয়ে আসছি। চারপাশে থৈ থৈ পানি অথচ এই দুর্যোগে বিশুদ্ধ পানির সংকটই সব থেকে বেশি।’

এ সময় তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দুর্গত অঞ্চলগুলোতে মোবাইল ও লাইট চার্জ দেওয়ার জন্যও জেনারেটর সেবা চালু আছে। আগের সেই পোস্টে তিনি একটি ভিডিও যুক্ত করে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যার্ত এলাকায় ভাসমান অবস্থায় জেনারেটর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ট্যাংকিতে পানি তোলার ব্যবস্থা করছেন।

এর আগে গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়, চলছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ প্রস্তুতির বিশাল কর্মযজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ টন, যা এখন ৭০০ টনে পৌঁছাচ্ছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে আরও বর্ধিত হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে- প্রথম ধাপে আমরা ২০ হাজার পরিবারকে দিচ্ছি ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, বনরুটি, কেক, বোতলজাত পানি, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। ইতোমধ্যে আমাদের ৫টি গাড়ি স্পটে পৌঁছে গেছে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ৪০ হাজার পরিবাররকে ১০ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৪ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনকল্পে টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার তাওফিক দিন।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ