ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাকিবকে দলে নেওয়া হয়েছে মেধার ভিত্তিতে: প্রধান নির্বাচক

প্রকাশনার সময়: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৬:১০

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে এমপি হিসেবে টিকতে পারেন কেবল সাত মাস। কারণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পরপরই ভেঙে দেওয়া হয়েছে সংসদ।

রাজনৈতিক পরিচয় যার (সাকিব) নামের পাশে রয়েছে, তাকে পাকিস্তান সিরিজে নেওয়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সাকিব দেশের একজন শীর্ষ খেলোয়াড়। যেহেতু তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তাকে নিয়ে ভেবেছি। তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ওপরে। সেক্ষেত্রে যা আমরা সবসময় করি সেটাই করেছি। মেধার জায়গাটাকেই সমুন্নত রেখেছি। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে যা হয়। আমি যদি নির্বাচক প্যানেলে থাকি, তাহলে সবসময় মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’

এক মাসেরও বেশি সময় চলা কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই সামাজিক মাধ্যমে সরব ছিলেন। শরীফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয় থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন। ব্যতিক্রম এখানে সাকিব। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সামাজিক মাধ্যমে একটা পোস্টও করেননি আন্দোলন নিয়ে। লিপু জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে কোন খেলোয়াড় কী পোস্ট দিলেন, সেটা নির্বাচনের মানদণ্ড হতে পারে না।

বিসিবি প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমের কথা আপনি বলেছেন। সেখানে একটা ইমপ্যাক্ট তো থাকেই। সেই ইমপ্যাক্টের ক্ষেত্রে আমি তো আর খেলোয়াড় না। আমাদের যে জাতীয় প্যানেল আছে, সেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাজ করে দেখাতে হবে। একটা ছক আছে। সেই ছকের মধ্য থেকে আমাকে হিসেব করতে হবে। কেউ যদি একটা বড় স্ট্যাটাসও দিয়ে থাকত, সেটাই যদি মানদন্ড হতো নির্বাচন করার...নিশ্চিতভাবে সেটা না। এক্ষেত্রে ক্রিকেটীয় মেধাটাই আগে থাকত।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেশ অস্থিতিশীল হয়েছিল। সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল কানাডাতেও। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে গেলে গত মাসে সাকিবের কাছে এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানতে চেয়েছিলেন যে কেন তিনি (সাকিব) নীরব। সাকিব তখন ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, ‘আপনি দেশের জন্য কী করেছেন?’ যা অনেক সমালোচিত হয়েছে। লিপুর মতে কেউ ভুল করলে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া উচিত।

বিসিবি প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘মানুষ ভুল করে। আবার সেটা শোধরানোরও সুযোগ রয়েছে। আমার মতে সাকিব আল হাসান বা অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ই হোক, তিনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন তার পথচলায়। আমার মনে হয় যিনি এক সময় বোঝার সুযোগ হবে যে কোথায় ভুল করেছেন এবং সঠিক ট্র্যাকে আসার সুযোগ পাবেন।’

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ