ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল। মুখোমুখি ফ্রান্স-পর্তুগাল। মঞ্চ প্রস্তুত এমবাপ্পে ও রোনালদোর কাউকে বিদায় জানাতে। কিন্তু বিদায় নিতে কে চায় বলুন। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ও বর্তমানের লড়াইটা চলল ১২০ মিনিট। তবে গোল পেল না কোনো দলই। শেষটাই ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে গেল ম্যাচটা। যেখানে সবশেষ ম্যাচে রোনাল্ডোদের টেনে তুললেও এ ম্যাচে আর পারলেন না দিয়েগো কস্তা। ৫-৩ গোলে ফ্রান্সের বিপক্ষে হারতে হতো পর্তুগালকে। যেই হারে থামল পর্তুগালের ইউরো যাত্রা। এমবাপ্পের ফ্রান্স উঠে গেল সেমিফাইনালে।
পর্তুগালের এমন বিদায়ে শেষ হলো রোনালদোর ইউরো অধ্যায়। ইউরো শুরুর আগেই রোনালদো জানিয়েছিলেন এটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ। সে হিসেবে ফ্রান্সের বিপক্ষে হারটাই হয়ে থাকল রোনালদোর শেষ ইউরো ম্যাচ।
যদিও প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ করে কাঙ্খিত গোল পায়নি কোনো দল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় ফ্রান্স।
তবে এ ম্যাচে হেরে ইউরো মঞ্চকে বিদায় জানিয়েছেন রোনালদো। রঙহীন বিদায়ের ম্যাচে দেখা গেল এক বিধ্বস্ত, হতাশাগ্রস্ত তারকাকে। এত শক্তপোক্ত একটা মানুষকে কী এ সাজে মানায়! তবুও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসতো মেনে নিতেই হবে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারতে হলো টাইব্রেকারে। জোয়াও ফেলিক্সের ওই শটটি যদি পোস্টে না লাগতো তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা অন্যকিছু হলেও হতে পারতো। তবে এটিই হয়তো ইউরোতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষ ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত তাকে ইউরোর মঞ্চটা ছাড়তে হলো পরাজিত নায়ক হয়েই।
ম্যাচে দুই দলই গোল মিসের মহড়া চালিয়েছে যেন। তুলনামূলকভাবে মিসের পাল্লা ভারী পর্তুগালের। ব্রুনো ফার্নান্দেস ও ভিতিনহার দারুণ দুটি প্রচেষ্টা বিফল করে দেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। অন্যদিকে ফ্রান্সের রঁদাল কলো মুয়ানির শট রুবেন দিয়াসের পা ছুঁয়ে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর কিছুক্ষণ পর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার কাছ থেকে নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
গোলশূন্য দুই অর্ধ শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান রোনালদো। সতীর্থের কাটব্যাকে বল পেয়ে কাছ থেকে শট নিয়েও বারের ওপর দিয়ে মারেন তিনি। এরপর আসলে বলার মতো কিছুই করতে পারছিল না দুই দলই।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নেন রোনালদো নিজেই। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম কাজটা সেরে বাকিদের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যও শেষবেলায় সহায় হলো না রোনালদোর। তাকে হতাশ করলেন ফেলিক্স ও কস্তা।
এ জয়ের পর সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। আগামী মঙ্গলবার মিউনিখে হবে স্পেন-ফ্রান্স মহারণ।
নয়াশতাব্দী/চিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ