রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে মেসির আর্জেন্টিনা। ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে মেসি পেনাল্টি মিস করলেও বাকি সবাই জালের দেখা পান।
আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় ম্যাচটি শুরু হয়। এদিন শুরু থেকে অগোছাল ছিল আর্জেন্টিনা। সেই সুযোগে আধিপত্য দেখায় ইকুয়েডর। ইকুয়েডরের বিপক্ষে খাতাকলমে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। তবে মাঠের খেলায় সেটা দেখা যায়নি। পুরো ৯০ মিনিটজুড়ে দাপট দেখানো ইকুয়েডর একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে সমতায় ফেরে। ফলে ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে শেষ হাসি লিওনেল মেসির দলের।
ম্যাচে ইকুয়েডর গোলের জন্য শট নেয় নয়টি, আর্জেন্টিনা আটটি। তবে উভয় দলই মাত্র দুটি করে শট লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয়।
গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডমিঙ্গেজকে ভুল পথে পাঠিয়েছিলেন বটে। কিন্তু তার প্যানেককা শট বারপোস্টে লেগে চলে যায় ওপরে। কিন্তু পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে আরও একবার নায়ক বনে গেলেন এমি মার্টিনেজ। ইকুয়েডরকে ৪-২ ব্যবধানে পেনাল্টিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।
শেষবার আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টিতে এমন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ১৯৯০ সালের সার্জিও গায়কোচিয়া। তবে এমি মার্টিনেজকে সম্ভবত তার চেয়েও বড় কিছু বলা চলে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা থেকেই পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ভরসা হয়ে ছিলেন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঠেকিয়েছিলেন ৩ পেনাল্টি। এরপর বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় তো ধরা দিল এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাতের সূত্রে।
২০২৪ সালের কোপা আমেরিকাতেও বদলাল না সেই চিত্র। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ সময়ে গোল হজম করে বিপাকেই পড়েছিল টিম আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির শট মিস হলে তাতে সংশয় বেড়ে যায় আরও খানিকটা। কিন্তু এমি মার্টিনেজ ঠেকালেন আনহেল মেনা আর অ্যালান মিন্দার শট। আর্জেন্টিনা গোল করল পরের চার শটেই। ইকুয়েডরকে সেখানেই হারাল আলবিসেলেস্তেরা। তাতেই আর্জেন্টিনা চলে যায় সেমিফাইনালে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ