কোনো রকম টেনেটুনে পাশ করার মতো খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ব্রাজিলের এ পরিস্থিতে তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছে সমর্থকরা।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে সহজ এক সমীকরণ নিয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। জিততে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পেয়ে যেত তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পানামাকে। কিন্তু পরিস্কার সমীকরণের সুযোগটি কাজে লাগাতে পারল না সেলেসাওরা। ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে তারা।
সেই সাথে আরও একটি বিষয় পাকাপাকিভাবে নিশ্চিত করেছে। তা হলো কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্ধারণ করেছে অকুতভয়ী এই ব্রাজিল। পাশাপাশি একটি দুশ্চিন্তাকেও সঙ্গী করে নিয়েছে তারা। হলুদ কার্ড নিষেধাজ্ঞায় উরুগুয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ে বর্তমান তারকা উইঙ্গার ও গতিশীল ফুটবল খেলা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে পাচ্ছে না দরিভালের দল।
পুরোটা সময়জুড়ে সার্কাস খেলায় মগ্ন ছিলেন ব্রাজিল, এমনটাই বলছেন ব্রাজিল ভক্তরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ভক্তরা বলছেন, মাঝ মাঠে ভালো খেলার মতো কোনো খেলোয়াড় নেই এই দলে। রক্ষনভাগের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। অনেকেই ভাবছেন, ব্রাজিল দলের কবর রচিত হয়ে গেছে। দলের এই পারফর্মেন্স নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখা যেন বিলাসিতা।
হতাশ হওয়া এক ব্রাজিল ভক্ত নয়া শতাব্দীকে বলেছেন, যে শৈল্পিক ও নান্দনিক খেলা দেখে ব্রাজিলের প্রেমে পড়েছিলাম, সেই ব্রাজিলের সাথে বর্তমানের ব্রাজিলের কোনো মিল নেই। যতই দিন যাচ্ছে, তাদের খেলার মান নিচে নেমে যাচ্ছে। খেলার এই মান নিয়ে উরুগুয়ে বাঁধা পেরোনো ইম্পসিবল। তবুও ভক্তরা আশায় আছে, রাজারা একদিন রাজার মতই ফিরে আসবে।
হামিদুর রাহমান নামের এক ফুটবলপ্রেমী ব্রাজিল ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা হয়তো ভরসা হারিয়ে ফেলছেন দলের উপর। কিন্তু এই ব্রাজিল ভয়ঙ্কর, এই ব্রাজিল অদম্য। হয়তো এই ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে সামনে পেলে শকুনের মতো ছিঁড়েকুড়ে খাবে। ব্রাজিল ঘুরে দাঁড়াবে। একজন ফুটবল প্রেমী হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
বর্তমানে ব্রাজিলের বাংলাদেশি ভক্তরা চরম হতাশায় ভুগছেন। একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স আরেক দিকে ব্রাজিলের। দুই মিলিয়ে দিন দিন খেলা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন ভক্তরা। এত কিছুর পরেও ভক্তরা বিশ্বাস করেন, তাদের ভালবাসার দল ফিরে আসবে পূর্ণ শক্তি নিয়ে। বিশ্বকে দেখিয়ে দিবে, ফুরিয়ে যাইনি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ