ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে যা বললেন তাসকিন

প্রকাশনার সময়: ২৮ জুন ২০২৪, ১৩:০৮ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১৩:১৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা।

দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেননি বিদেশি কোচরা। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ সবাই বিশ্বকাপ শেষে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে গেছেন।

বিমানবন্দরে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন।

টাইগারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে তাসকিন বললেন,‘ধীরে ধীরে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পরিসংখ্যান শুরু থেকে খুব একটা ভালো ছিল না। আগের থেকে তো উন্নতি হচ্ছে। শুধু মাইনাস পয়েন্ট দেখলে তো হবে না। এমনিই তো মাইনাসে আছি আমরা। প্লাসে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তো করেই যাব, আপনারা হতাশ হচ্ছে স্বাভাবিক, আবার আমরা আপনাদের ভালো জয় উপহার দিবো, বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।’

পুরো বোলিং ইউনিটকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তিনি বলেন, ‘মাশাআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশাআল্লাহ। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলেটি আছে।’

‘বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই লাস্ট কিছু বছর ধরে ভালো উন্নতি করে আসছে। এবং সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখছে। আল্লাহর রহমতে সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নাই।দেখেন সত্যি কথা বলতে ভালোর তো কখনোই শেষ নাই। ধরেন আমরা আরও অনেক ভালো হইতে পারতো।'- যোগ করেন তিনি।

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সহ-অধিনায়ক বলেন, ‘আর ব্যাটিং, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি।’ পরে এ কথাও বলেছেন, ‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।’

দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ব্যর্থ। তাদের ফর্মহীনতা দলকে ভুগিয়েছে, এমনটা মানেন তাসকিন। তার কথা, ‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ