ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

২২৬ দিন পর আবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

প্রকাশনার সময়: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৩৫ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯

সাত মাস, দিনের হিসেবে ২২৬—আবারও ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল রোহিত শর্মার দল।

এবার গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে জায়গা নিয়েছে ভারত। সেবার ঘরের মাঠে অপরাজিতভাবে ফাইনালে এসেছিল স্বাগতিকরা। এবারও গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইটের পর নকআউট পর্বেও কোনো ম্যাচ হারে ভারত।

শনিবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সামনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে আসার দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির বৈশ্বিক আসরের প্রথম ট্রফি জয়ের হাতছানি প্রোটিয়াদের।

অন্যদিকে ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের সুযোগ ভারতের। আর ১৩ বছর পর আরও একটি আইসিসির বৈশ্বিক আসরের শিরোপার হাতছানি রোহিত-কোহলিরা।

বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৬৮ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা।

২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলে তারা। সেবার শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা বঞ্চিত হয় ধোনি-কোহলিরা।

পুনরাবৃত্তি হয়নি দেড় বছর আগের স্মৃতি। অস্ট্রেলিয়া হওয়া গত আসরের সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেট হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে ছিল ইংলিশরা। সেই ম্যাচের আটজন ক্রিকেটার ছিলেন এবারের সেমিফাইনালের প্রথম একাদশে ছিলেন।

বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের রীতিমত গুঁড়িয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। ইংল্যান্ডকে বিদায় করে রোহিত শর্মার দল জিতেছে ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে। ২৯ জুন ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৭২ রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন জস বাটলার। কিন্তু ১৫ বলে ২৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে রিভার্স সুইপ করে উইকেট বিলিয়ে দেন ইংলিশ অধিনায়ক। তিনি ফিরতেই ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড।

ফিল সল্টকে (৫) বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। জনি বেয়ারস্টো শূন্য রানেই স্টাম্প হারান অক্ষরের ঘূর্ণিতে। বাঁহাতি এই স্পিনারের তৃতীয় শিকার মঈন আলি (১০ বলে ৮)। আউটটি ছিল বেশ অদ্ভুত। বল প্যাডে লেগে উইকেটরক্ষক পান্তের হাতে চলে গেলে খেয়াল করেননি মঈন, কিছুটা সামনে চলে আসেন। বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন পান্ত।

স্যাম কারান প্রমোশন পেয়ে ওপরে নেমেও দলের কাজে লাগেননি। ৪ বলে ২ করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। হ্যারি ব্রুক ভালো খেলছিলেন। কুলদীপকে রিভার্স সুইপে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ওভারেই আরেকবার একই শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ১৯ বলে ২৫ করা এই ব্যাটার। ইংল্যান্ডের আশা আসলে শেষ তখনই।

স্বীকৃত ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন কেবল লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনিও পড়েন রানআউটের ফাঁদে (১৬ বলে ১১)। ৮৮ রানে ৯ উইকেট হারানো ইংলিশরা কোনোমতে একশ পেরিয়েছে জোফরা আর্চারের ব্যাটে। ১৫ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২১ করেন তিনি। ১৬.৪ ওভারে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১০৩ রানে।

ভারতের দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব আর অক্ষর প্যাটেল নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি উইকেট বুমরাহর।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ