দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। এ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ হাত ছাড়া করেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সুপার এইট থেকেই বিদায় নিয়ে দেশে ফিরছে টাইগাররা। এবারের বিশ্বকাপের মোট সাত ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে শান্ত বাহিনী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে আফগানিস্তান। পরে ১২.১ ওভারে এই রান তাড়া করতে পারলেই অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে টপকে তারাই পেত সেরা চারের টিকেট।
তবে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় সান্ত্বনার জয় দিয়েও শেষ করতে পারেনি আসর। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আইসিসি। সর্বমোট প্রাইজমানি ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। আগের আসরে যা ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি।
এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় তারা পাবে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ শুধু প্রাইজমানি হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে।
পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি। এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো থাকছেই।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ