ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁদিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশনার সময়: ২৪ জুন ২০২৪, ১১:১৬ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১১:৪৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বিশাল জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁদিয়ে শেষ চারে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

সোমবার (২৪ জুন) অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৬ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হাত রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে প্রোটিয়ারা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানেই ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকসের গোল্ডেন ডাকের পর প্রথম ওভারে ১২ রান করা কুইন্টন ডি কক সপ্তম বলের মুখোমুখি হয়েই ক্যাচ তুলে দেন শেরফান রাদারফোর্ডের হাতে। এরপর নামে বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি চলায় ম্যাচ নেমে আসে ১৭ ওভারে। এতে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩।

বৃষ্টির পর স্কোরবোর্ডে আরও ২৭ রান যুক্ত করার পর আউট হন এইডেন মারক্রাম। ১৮ রান করেন দলপতি। এরপর হেইনরিখ ক্লাসেন এসে ঝড় তুলেন। তবে ১০ বলে ২২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। সেই সময়েও জয় থেকে পিছিয়ে ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে রোস্টন চেজের ওভারে ডেভিড মিলার ৪ রান করে আউট হলে জমে উঠে ম্যাচ। ৫ উইকেট হারালেও মারকুটে ব্যাটার ত্রিস্টান স্টাবস টিকে থাকায় জয়ের স্বপ্ন বুঁনছিল প্রোটিয়ারা। তবে স্টাবস ২৯ রান করে আউট হন।

এতে জয়ের পাল্লা ঝুঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে, কেননা তখন প্রোটিয়াদের পুরোদস্তুর কোনো ব্যাটার অবশিষ্ট নেই। তবে মার্কো জানসেনের ব্যাটে জয়ের কাছেই চলে যায় তারা, ১৩ রান দূরে থাকতে কেশভ মহারাজ জোসেফকে ক্যাচ তুলে দেন চেজের বলে। ওই ওভারে ৮ রান নিয়ে পথ আরও সহজ করে জানসেন-রাবাদা জুটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় প্রোটিয়ারা। ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন জানসেন। আর ৫ রান করেন রাবাদ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ২ রানের মাথায় শাই হোপকে হারায় দলটি। এরপর মাত্র ১ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ৫ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেজ।

এই জুটিতে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে তাবরিজ শামসি ও কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইন-আপ। ৩৪ বলে ৩৫ রানে মায়ার্সকে ফেরান শামসি। তার ঘুর্ণি জাদুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ করা চেজও।

শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংসের আভাস দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তবে নরকিয়ার দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে রানআউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন মারকুটে এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তাবরিজ শামসি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ