ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

সুপার এইট খেলতে অফিসে বাড়তি ছুটি চাইলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা!

প্রকাশনার সময়: ১৯ জুন ২০২৪, ১৮:২১ | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪, ১৮:২৬

স্বাগতিক হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে স্বাগতিকরা। এরপর সুপার ওভারে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় দলটি। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে সুপার এইট নিশ্চিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের।

দক্ষিণ আফ্রিকা-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সুপার এইট পর্ব। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবে দুই দল।

শুধু ক্রিকেট খেলেন; এমন মাত্র দু’জন ক্রিকেটার আছেন যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। একজন কোরি এন্ডারসন। তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এক সময় আইপিএলে ছিলেন। এখনও বিভিন্ন প্রান্তে টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। ক্রিকেটই এখনও তার পরিপূর্ণ পেশা। আরেকজন আন্দ্রিয়েস গাউস। তিনি পুরোপুরি মার্কিন। যুক্তরাষ্ট্রের দলটা প্রবাসীতে ভরা। তবে কঠিন হলেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার বিলাসিতা দেখিয়েছেন তিনি।

ভারত-পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটারে ভরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দলটি। যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা বাকিদের কেউ ফুল টাইম তো কেউ পার্ট টাইম চাকরি করেন। বিশ্বকাপে খেলতে আসার জন্য ছুটি নিতে হয়েছে তাদের। ছুটির আবেদনে নিশ্চয় শুধু গ্রুপ পর্বের ক’ম্যাচের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ফাইনাল পর্যন্ত ছুটি চাওয়ার দরকারও পড়েনি, লম্বা ছুটি চেয়ে ছোট ছুটি হাতছাড়া করার ঝুঁকিও নেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে এবার সুপার এইটে চলে যাওয়ায় নিশ্চয় ছুটি বাড়াতে হচ্ছে তাদের। ক্রিকবাজকে এক সাক্ষাৎকারে দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল’ জানিয়েছেন, অফিসের বসকে তো ফোন করতেই হয়েছে। তবে নিশ্চয় তা মধুর ছিল।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ছুটি বাড়াতে বসের কাছে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে কিছু ফোন কল গেছে (হাসি)। আশা করছি, এটা মধুর ফোন কলই ছিল। ছেলেরা যেখানে চাকরি করে ভালো কর্মপরিবেশ পেয়েছে। সবার সমর্থন পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ছুটিও পেয়েছে। আমি মনে করি, আমেরিকান কোম্পানি এমন কাজের জন্য ছুটি দিতেই পারে।’

ক্রিকেটকে যুক্তরাষ্ট্রে মূল পেশা হিসেবে নেওয়ার প্রশ্নে স্টুয়ার্ট ল বলেন, ‘ছেলেরা পেশাদার হিসেবে শুধু ক্রিকেটই খেলতে চায়। ক্রিকেট দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে চায়। কিন্তু এখন এখানকার যে ক্রিকেট কাঠামো, এই মুহূর্তে এটি পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে নেওয়া কঠিন। তবে ভবিষ্যতে যেন তেমনই হয়, সেজন্যই আমাদের এই কঠোর পরিশ্রম।’

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ