টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সামনে এবার লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা। এখনও দক্ষিণ আফ্রিকাকে টি-টুয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৭ থেকে ২০২২- এই ১৫ বছরে ৮ বার মুখোমুখি হলেও জয় পায়নি কোনো ম্যাচেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে পারলেই সুপার এইটের পথ অনেকটাই সহজ হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জন্য। আমেরিকার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি।
বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে আটটায় মাঠে গড়াবে ম্যাচ। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে কিছুটা হলেও ফুরফুরে মেজাজে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। তবে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলেও এই ম্যাচ নিয়ে সিরিয়াস আফ্রিকান অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
ম্যাচের আগের দিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এখানে বাংলাদেশের অনেক সমর্থক থাকবে। আমরা এটা লম্বা সময় ধরেই করে আসছি। বাউন্ডারি লাইনের ভেতরে কী হচ্ছে আমাদের মনোযোগ সেদিকেই। দর্শকরা যাদের বেশি সমর্থন দেয় তারা ম্যাচের মোমেন্টাম পেয়ে যায়। তারা যদি চুপ থাকে তার মানে আমরা ভালো করছি। আমরা ভালো খেলতে চাই এবং যতটা সম্ভব তাদের চুপ করিয়ে রাখতে চাই।'
নিজেদের সমর্থন নিয়েও অবশ্য আশাবাদী মার্করাম, ‘এখানে আমাদের এত সমর্থক আসবে, এটা সম্ভবত আমি আশা করিনি। দেখে খুব ভালো লেগেছে। আশপাশে অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান থাকে। তাদের খেলা দেখতে আসাটা ভিন্ন ধরনের বিনোদন। এখানে হয়তো অনেক চার বা ছক্কা হচ্ছে না, কিন্তু আমরা তাদের প্রতিনিধিত্ব করছি। সমর্থকদের এখানে আসাটা দারুণ ব্যাপার।’
এদিকে প্রথম ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ দলের টপ অর্ডাররা। ব্যাট হাতে ফর্মে নেই টাইগার ব্যাটারদের অনেকেই। কথা হচ্ছে সৌম্য সরকারকে নিয়ে। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘শুধু সৌম্য না, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলছি। আমরা তাদের খেলা, শক্তির জায়গাগুলো, প্রতিপক্ষ, তারা কী চায়; সবকিছু নিয়েই কথা হয়। কিন্তু এরপর মাঠে গেলে, ওখানে শুধু তারাই থাকে। তাদের নিজেদের খেলাটা বুঝতে হবে আর কী অনুভব করছে সেটাও। এখানে টেকনিক্যাল কোনো ব্যাপার নেই।’
‘আমার মনে হয় না তার সঙ্গে কিছু করার আছে আপনি যদি আউট হওয়ার ধরণগুলো দেখেন। কেবল তার ব্যাপার না, বাকিরাও যেভাবে আউট হযেছে, এখানে কিছু করার নেই। আমার মনে হয় তাদের শান্ত হয়ে নিজেদের শক্তির জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে, কোনটা তারা ভালো করে এমনকি না ভেবেই বের করতে হবে। যখন আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে, স্বাভাবিকভাবেই আপনি অটো মুডে চলে যাবেন। আপনাকে কেবল গিয়ে নিজের শক্তির জায়গা চিন্তা করে খেলতে হবে। যেকোনো ব্যাটারের জন্যই এটা বার্তা। ’-যোগ করেন হাথুরু।
এই ম্যাচে অবশ্য মূল লড়াই হবে দুই দলের বোলারদের মধ্যে। এনরিখ নরকিয়া এরইমাঝে নিজের বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছে। ওটনিয়েল বার্টম্যানও আছেন দারুণ ছন্দে। অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাসকিন আহমেদরাও মুখিয়ে আছেন নিজেদের সেরাটা দেখাতে। সবমিলিয়ে নাসাউ কাউন্টিতে জমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ