টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে ২০টি দলের অংশগ্রহণ করেছে। এবারের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছাড়িয়ে গেছে আগের সব আসরকে। চলতি টুর্নামেন্টের জন্য মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। যেখান চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া কোনো ম্যাচ না জিতলেও অংশগ্রহণকারী দলগুলো বড় অঙ্কের অর্থ পাবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে গত ২ জুন পর্দা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে চার-ছক্কার ধুন্ধুমার আসর।
এবারের আসরে শুধু অংশগ্রহণের জন্যই দলগুলো পাবে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা)। ফলে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ না জিতলেও ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে। তবে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার করে পাবে দলগুলো। এখানে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জয় বিবেচিত হবে না।
৯ম থেকে ১২শ স্থানে থেকে আসর শেষ করতে পারলে পাবে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার। আর ‘ডি’ গ্রু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার মতো পরাশক্তির ভিড়ে বাংলাদেশ দল যদি সুপার এইট নিশ্চিত করতে পারে তাহলে অঙ্কটা আরও বাড়বে। এ রাউন্ডে উঠে বাদ পড়া চার দলের প্রত্যেকে প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার করে।
আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাদ পড়া দুই দল পাবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে। রানার্সআপ দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্ব আসরে সুপার এইট খেললেও, কখনো সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ।
৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। একদিন বিরতি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে দলটি। এরপর ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ