ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে টটেনহ্যাম। সিটিজেনদের কাছে টটেনহ্যামের এই হারে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে অ্যাস্টন ভিলার। ৪২ বছর পর আবারও ইউরোপের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেল ইংলিশ ক্লাবটি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ঘরের মাঠে হারে টটেনহ্যাম।
শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করার পথে অ্যাস্টন ভিলার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু গতকাল সিটিজেনদের কাছে হেরে ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে স্পার্সরা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই উনাই এমেরির শিষ্যরা নিশ্চিত করে ফেললো চ্যাম্পিয়নস লিগ।
ভিলার জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার অভিজ্ঞতা হবে একেবারেই নতুন। তবে ইউরোপের সেরা এই টুর্নামেন্টের নাম যখন ইউরোপিয়ান কাপ ছিল, তখন একবার শিরোপা জিতেছিল ভিলা। ৪১ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে শেষবার ইউরোপিয়ান কাপে খেলেছে তারা।
একবার ইউরোপিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও ১৯৯১-৯২ মৌসুমে টুর্নামেন্টের নাম চ্যাম্পিয়নস লিগ রাখার পর থেকে ভিলা আর সুযোগ পায়নি। যদিও ১৯৯২-৯৩ ও ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করেছিল তারা। কিন্তু দুইবারই শুধু শীর্ষে থাকা দলই চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সুযোগ পেয়ছিল।
ভিলার এবারের উত্থানের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন কোচ উনাই এমেরি। ২০২২ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্লাবটিকে পুরোপুরি বদলে দেন তিনি। সেবার তারা লিগ শেষ করে ১৪তম স্থানে থেকে। ২০১৯ সালেও তারা দ্বিতীয় স্তরে তথা চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে। কিন্তু এমেরি আসার পর ভাগ্য বদলে গেছে ভিলার।
এ মৌসুমে স্প্যানিশ কোচের অধীনে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে ভিলা। লিগের পয়েন্ট টেবিলে তাদের ওপরে আছে শুধু ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল ও লিভারপুল। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ষষ্ঠ ক্লাব হিসেবে ভিলাকে নিয়ে যাচ্ছেন এমেরি। এর আগে ভালেন্সিয়া, স্পার্তাক মস্কো, সেভিয়া, পিএসজি ও ভিয়ারিয়ালকে ইউরোপের শীর্ষ লিগে ম্যানেজ করেছেন তিনি।
গত রাতে টটেনহামের হার নিশ্চিত হওয়ার পর নিজেদের মাঠ ভিলা পার্কে উৎসব করেছে এমেরির শিষ্যরা।
আনন্দের খবর জানার পর এমেরি নিজে বলেছেন, ‘এটা খুবই বিশেষ একটা দিন। এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল, আমরা এখানে (চ্যাম্পিয়নস লিগে) থাকার জন্যই মৌসুম শুরু করেছিলাম। দলে ইনজুরির আঘাত ছিল, আমার দল পুরোপুরি লক্ষ্যে অটুট ছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা সেরা ব্যাপার।’
নয়াতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ