রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ভাগ্যটা খারাপ বলতেই হয়। এতকিছু করেও যেন জয়টা ধরা দিল না তাদের হাতে। শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ককে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটা ঠিকই নিজেদের করে নিচ্ছিল বেঙ্গালুরুর করণ শর্মা। কিন্তু ভাগ্য তাদের নেহাতই মন্দ। পঞ্চম বলে আউট হয়েছেন করণ। আর ষষ্ঠ বলে তিন রান দরকার ছিল। সেখানে এলো কেবল ১ রান।
১ রানের ব্যবধানে হারতে হয়েছে বেঙ্গালুরুকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২২২ রানের জবাবে ২২১ রানেই থামতে হলো বেঙ্গালুরুকে। এমন হারের ম্যাচেও নতুন এক রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে তাদের। যদিও হারের কারণে কৃতিত্বের সেই রেকর্ড খুব একটা আলোচনায় আসেনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে সবচেয়ে বেশি রান তোলার নজির এদিন গড়েছে বেঙ্গালুরু। ১০ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করতে পারেনি কোন দলই। রোববার ২২১ রান তুলে অল আউট হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। এদিন তারা টপকে গেল ২০১৮ সালে এসএল আর্মি এবং নেগাম্ব সিসি ওয়েলিসারার করা ২১৮ রানের ইনিংসকে। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি তাদের। কলকাতার কাছে ম্যাচটা ঠিকই হেরেছে বিরাট কোহলিরা।
হারের এই ম্যাচে নিজেদের আরেকটা দলগত রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে বেঙ্গালুরুর। রানের বিচারে সব থেকে কম ব্যবধানে হারের মুখ দেখল দলটি। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ২ রানে হেরেছিল তারা। ২০১৪ সালে শারজাতে হয়েছিল ম্যাচটি। এছাড়া আরসিবির সবচেয়ে কম ব্যবধানের পাঁচ হারে তিনবারই আছে কলকাতার নাম।
২০০৮ সালে আরসিবি ৫ রানে হেরেছিল কেকেআরের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে হেরেছিল ২ রানে। আর ২০২৪ সালে এসে হারল ১ রানে।রেকর্ড অবশ্য কলকাতারও হয়েছে। আইপিএলে কেকেআর এত কম রানে আগে কখনও জেতেনি। ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জিতেছিল তারা ২ রানে। ২০২০ সালে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও জয় এসেছিল ২ রানের ব্যবধানে। তার আগে এক বার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৪ রানে জিতেছিল কেকেআর।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ