ভারতের নান্দনিক সৌন্দর্যময় ক্রিকেট ভেন্যুগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম। তবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে মাঠের আউটফিল্ড নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। বলা হয়েছে, ফিল্ডিংয়ের সময় আঘাত পেয়ে ইনজুরি হতে পারেন যেকোনো ক্রিকেটার।
সেসব সংকট নিরসনে এবার প্রযুক্তির দ্বারস্থ হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। আউটফিল্ডকে নিরাপদ করতে এসআইএসগ্রাস প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। যদি এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে ভারতের প্রথম কোনো মাঠ হিসেবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার হতে যাচ্ছে ধর্মশালায়।
এই প্রযুক্তিতে প্রাকৃতিক ঘাসের পাশাপাশি মাঠে কৃত্রিম ঘাসও লাগানো হয়। যাতে মাঠের স্থায়্ত্বি ও নমনীয়তা বাড়ে। এতে ফিল্ডিংয়ের সময় ক্রিকেটারদের ব্যথা পাওয়া কিংবা ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা কমবে।
২০১৭ সালে প্রথম প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তিতে প্রাকৃতিক ঘাসের সঙ্গে ৫ শতাংশ ঘাস থাকবে প্লাস্টিক বা পলিমারের। যুক্তরাজ্যের প্রায় প্রতিটি ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এর ফলাফলও বেশ ইতিবাচক।
প্রযুক্তিটি প্রথম ব্যবহার করে নেদারল্যান্ডস। মাঠকর্মীদের কাজের চাপ কমাতেই মূলত প্রাকৃতিক ঘাসের পাশাপাশি কৃত্রিম ঘাসের দিকে ঝুঁকেন তারা। এতে দীর্ঘদিন ধরে পিচ ভালো থাকে এবং বাউন্স ঠিক থাকে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ