ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিজেদের যোগ্যতায় নয়, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের গোপন তথ্য ফাঁস!

প্রকাশনার সময়: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনাল বলা হয়ে থাকে। টানটান উত্তেজনা ও নানা নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ ছিল ম্যাচটি। রোমাঞ্চে ভরপুর সেই ম্যাচের ফল শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারেও না এলে, বাউন্ডারির হিসাবে শিরোপা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। এতে ৪৪ বছরের আক্ষেপ ঘোঁচে বৃটিশদের।

তবে ওই শিরোপা ঠিক নিজেদের যোগ্যতায় নয়, বরং আম্পায়ারের ভুলেই পেয়ে যায় ইংল্যান্ড! মাঠের উত্তেজনায় সেদিন বিষয়টি না বুঝলেও, পরদিন ঠিকই বুঝতে পারেন আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস।

দীর্ঘ ৫ বছর পর ইরাসমাস নিজেই জানালেন সেই ভুলের বিষয়টি। আইসিসির এলিট প্যানেল থেকে অবসরের পর দ্য টেলিগ্রাফে এমনটাই জানিয়েছেন প্রোটিয়া এই আম্পায়ার।

ফাইনালে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল। সেই সময়েই মূলত আলোচিত ঘটনাটি ঘটে। বেন স্টোকস ও আদিল রশিদের দৌড়ে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময়, মার্টিন গাপটিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। এ ঘটনায় ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন ফিল্ড আম্পায়ার ইরাসমাস এবং কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু ক্রিকেটের নিয়মে এটি ছিল ৫ রান।

নিয়ম অনুযায়ী, থ্রো করা বল ব্যাটে লাগায় ৪ রান ও দৌড়ে এক রান, অর্থাৎ মোট ৫ রান পাওয়ার কথা ছিল ইংলিশদের। কিন্তু ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন মাঠের দুই আম্পায়ার। পরে সেই এক রানই ছিল ম্যাচ ফ্যাক্টর।

এমসিসি আইনের ১৯.৮-এর ধারা বলছে, ‘যদি ওভার-থ্রো বা ফিল্ডারের ইচ্ছাকৃত কোনো কারণে বাউন্ডারি হয়, তবে পেনাল্টির জন্য যে রান তারা পেয়েছে, তার সঙ্গে ব্যাটারদের সম্পন্ন করা চলমান রান যুক্ত হবে। যদি তারা বল ছোঁড়ার সময় একে অন্যকে অতিক্রম করে থাকে।’

সেদিনের ঘটনা নিয়ে ইরাসমাসের ভাষ্য, ‘পরদিন সকালে আমি হোটেল রুমের দরজা খুলে ব্রেকফাস্টের জন্য যাচ্ছি, আর কুমারও একই সময় দরজা খুলে আমাকে বলল, ‘তুমি দেখেছ আমরা যে বিশাল ভুল করে ফেলেছিলাম?’ আমি কেবল তখনই বিষয়টা জানতে পারি। কিন্তু মাঠে ওই সময়ে আমরা কেবল বলছিলাম ৬। বুঝতেই পারছেন, একে অন্যকে বলছিলাম, ৬, ৬ এটা ৬-ই হবে। বুঝতেই পারিনি, তারা দুজন একে অন্যকে অতিক্রম করেনি। ওটা মাথাতেই ছিল না।’

এছাড়াও রস টেইলরকে দেওয়া এলবিডব্লিউ প্রসঙ্গে ইরাসমাসের মন্তব্য, ‘ওটায় বল একটু উঁচু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে ওরা নিজেদের রিভিউ শেষ করে ফেলেছে। পুরো ৭ সপ্তাহে ওটা ছিল আমার একমাত্র ভুল। আর তারপরে আমি খুবই হতাশ হয়ে যাই। কারণ, আমি যদি পুরো বিশ্বকাপে কোনো ভুলই না করতাম, তবে হয়ত ফল একেবারেই ভিন্ন হতো। আর অবশ্যই ওটা খেলায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কারণ, সে (টেইলর) ছিল তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’

ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ওই ২৪১ রানই ছুঁতে পারে ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।

সেখানেও কিউয়িদের করা ১৫ রানের জবাবে ইংলিশরাও থামে সমান ১৫ রানে। পরে বাউন্ডারির হিসেবে জয়ী ঘোষিত হয় ইংল্যান্ড।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ