তৃতীয় দিনের দুই সেশন শেষ হওয়ার আগেই অলআউট হয়ে গেলো বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫৩১ রানের জবাবে ফলোঅনও এড়াতে পারেনি শান্তবাহিনী। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭৮ রানেই। যাতে ৩৫৩ রানের লিড পেল ধনাঞ্জয়ার দল।
ফলশ্রুতিতে সিলেটের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও এখন বড় পরাজয়ের শঙ্কায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কেননা, ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও সেটি কাজে না লাগিয়ে, ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছে সফরকারী দল।
এদিন সকালে জাকির হাসান এবং তাইজুল ইসরাম মিলে প্রাথমিক বিপর্যয়টা সামাল দিতে পারলেও, লঙ্কান বোলারদের হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ৯৬ থেকে ১০৫ -এই ৯ রানের মধ্যে একে একে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা।
বিরতি থেকে ফিরে আর মাত্র ৬৩ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট বিলিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে জাকির হসানের ওই ৫৪ রানই ছিলো সেরা স্কোর। এছাড়া মোমিনুল হক করেন ৩৩ রান। বাকিদের মধ্যে জয় ২১, তাইজুল ২২ ও সাকিব ১৫ রান করেন।
যে উইকেটে লঙ্কান ব্যাটাররা রাজত্ব করেছেন, সেই উইকেট পরিণত হলো বাংলাদেশের ব্যাটারদের বধ্যভূমি। লঙ্কান বোলাররাই এদিন সেখানে রাজত্ব করেন। অসিথা ফার্নান্ডো ৪টি এবং বিশ্ব ফার্নান্ডো, লাহিরু কুমারা ও প্রাবাথ জয়সুরিয়া নেন ২টি করে উইকেট।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ