অতঃপর ইতিহাসে নাম লেখালেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বার্ষিক মূল্যায়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সৈকতকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন এই বাংলাদেশী আম্পায়ার।
জানা গেছে, অবসরে যাওয়া ইরাসমাসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। গত অক্টোবরেই আইসিসিকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৬০ বছর বয়সী ইরাসমাস। আর তারপরই অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে সুযোগ পান সৈকত।
এতোদিন নানান কারণেই বিশ্ব মঞ্চে পিছিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের আম্পায়াররা। যার মধ্যে অন্যতম ছিল কমিউনিকেশন গ্যাপ। সম্প্রতি এনামুল হক মনি বলেন, সৈকতের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ অনেক ভালো। তিনি বিদেশি আম্পায়ার এবং রেফারিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। আগে বাংলাদেশের আম্পায়াররা সিরিজ চলাকালীন বেশিরভাগ রুমের মধ্যে সময় কাটালেও সৈকত নাকি ব্যতিক্রম। তিনি বিদেশি রেফারি এবং আম্পায়ারদের সঙ্গে আড্ডা দেন, ঘুরতে যান। যার ফলে আইসিসির আম্পায়ারিং কমিটিতে বেশ ভালো ইমপ্রেশন রয়েছে সৈকতের। আর বিসিবির পক্ষ থেকেও সৈকতকে নানাভাবে সহায়তা করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে।
৪৭ বছর বয়সী সৈকতের জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৬ অক্টোবর, ঢাকায়। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির উচ্চতার এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ক্রিকেটে ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার ও বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। একজন ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারায়, ক্যারিয়ার সাজান আম্পায়ার হিসেবে।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ১০টি টেস্ট, ৬৩টি ওয়ানডে ও ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন সৈকত। এর বাইরে নারীদের ১৩ ওয়ানডে ও ২৮ টি-টোয়েন্টিতেও আম্পায়ারিং করেন বাংলাদেশের এই গর্ব।
বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনারও অভিজ্ঞতা আছে সৈকতের। এর আগে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২০১৭ এবং ২০২১ সালে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, ২০১৮ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আম্পায়ার ছিলেন। ছেলেদের ক্রিকেটে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ার ছিলেন সৈকত।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ