সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে ১৮৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। এতে ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নাহিদ রানার পেস তোপ ও তাইজুল-মিরাজের স্পিনের মুখে ৪ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়েছে সফরকারীরা।
এর আগে, শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন খুব একটা ভালো কাটেনি টাইগারদের। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারায় তারা। এই অস্বস্তি নিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
যদিও দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে মাহমুদুল হাসান জয়, লিটন দাস এবং শাহাদাত হোসাইন দিপুদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ তাইজুল ইসলাম।
এই স্পিনারের ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ (৪৭ রান) এবং শেষদিকে দুই পেসার খালেদ এবং শরিফুলের ৪০ রানের জুটিতে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান জড়ো করতে পারে বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট দখল করেন বিশ্ব ফার্নান্ডো। এছাড়া কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা ৩টি করে উইকেট নেন।
৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানেই নিশান মাদুশকার উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ওপেনারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন টাইগার গতিময় পেসার নাহিদ রানা।
পরে ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে এসে কুশল মেন্ডিসকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাহিদ রান। তার জোড়া আঘাতে বেশ চাপেই পড়েছে লঙ্কান শিবির। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৩ রান করতে পারেন কুশল। এতে ৩২ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
পরে করুণারত্নেকে নিয়ে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। এমনকি ইনিংসের ১৮তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসা তাইজুলকেও মারতে যান তেড়েফুঁড়ে। এ যাত্রায় আউট হতে গিয়েও বেঁচে যান তিনি। অল্পের জন্য ক্যাচ মিস করেন বদলি ফিল্ডার নাঈম হাসান।
তবে তার পরের বলেই কাট করতে গিয়ে লিটনের বিশ্বস্ত গ্লাভসে ধরা পড়েন ম্যাথিউজ। থেমে যায় তার ২৪ বলে ৩টি চারের মারে সাজানো ২২ রানের ইনিংসটি। এরপর ২০তম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই দিনেশ চান্দিমালকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী মিরাজ। যাতে ৬৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে একে একে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে হচ্ছে ওপেনার দিমুথ করুণারত্নেকে। ৬৬ বল খেলে ২৮ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন দলীয় অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (৪)।
এর আগে অবশ্য ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। পেসার শরিফুলের করা বলে ড্রাইভ করে দুই রান নিতে গিয়ে তাইজুলের থ্রোতে কাটা পড়তে যাচ্ছিলেন ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। শরিফুল বলটি ধরে স্ট্যাম্পে লাগিয়ে দিলেই হয়ে যেতো।
তবে সেটা আর হয়নি। শরিফুল মনে করেছিলেন বলটি ডিরেক্ট স্ট্যাম্পে আঘাত হানতে যাচ্ছে, তাই তিনি বলটি না ধরেই ছেড়ে দেন। এতে মাঠে রাগারাগি কম হয়নি। শরিফুলকেই দুষেছেন সবাই। অন্যদিকে, থ্রো করা সেই বলটি সীমানা ছুঁলে ৪টি রান অতিরিক্ত পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ