দ্বিতীয়বারের মতো পিএসএলের শিরোপা জিতেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। ইমাদ ওয়াসিমের রেকর্ডগড়া ফাইনালে মুলতান সুলতান্সকে হারিয়ে এবার পিএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন কারণে পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এখন আলোচনায়। ফাইনাল শেষে উল্লসিত ইসলামাবাদের ক্রিকেটাররা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করেছে। এমনকি যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার জন্য অনুদান পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছে তারা।
অথচ এর আগে পিএসএলের মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা ও ব্যানার নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল সমর্থকদের জন্য। যার কারণে স্টেডিয়ামের প্রবেশপথেও তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে ক্রিকেটারদের জন্য তো আর সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সে কারণেই ম্যাচ জয়ের পর নাসিম শাহ, শাদাব খানরা নির্দ্বিধায় উড়িয়েছেন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পড়া দেশটির পতাকা। ক্রিকেটাররা ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানান দিয়েছেন। তবে ওই সময় ছিলেন না কোনো বিদেশি খেলোয়াড়।
বিষয়টি নিয়ে পরে মন্তব্যও করেছেন চ্যাম্পিয়ন ইসলামাদের অধিনায়ক শাদাব, ‘এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সবাই মিলে আমরা এমনটা (ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানো) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি এজন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তিনি আমাদের এই ইস্যুতে অন্তত কিছু করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
এদিকে, ইসলামাবাদ ক্রিকেটারদের এমন উদ্যোগের সঙ্গে যোগ দিয়েছে দলটির স্পন্সর ফুড পান্ডাও। প্রতিষ্ঠানটি ম্যাচের আগে ঘোষণা করেছিল দলের প্রতিটি রানের জন্য ১০ হাজার এবং প্রতিটি উইকেটের জন্য এক লাখ পাকিস্তানি রুপি দান করা হবে। ফাইনাল শেষে যা দাঁড়িয়েছে রানের জন্য ১৮ লাখ ৯০ হাজার এবং উইকেটের জন্য ৫ লাখ। সবমিলিয়ে মোট ২৩ লাখ ৯০ হাজার রুপি গাজার তহবিলে দান করেছে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া পিএসএলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্রাইটো পেইন্টও দিয়েছিল অভিনব ঘোষণা। আসরের প্রতিটি হাফসেঞ্চুরির জন্য ৫০ হাজার এবং মোট ৫০ লাখ গাজাবাসীর জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তৈরি করা তহবিলে জমা হবে এই অর্থ। টুর্নামেন্টটির ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ওই অর্থ আয়োজকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তবে খেলার মাঠে যুদ্ধ কবলিত কোনো পক্ষের প্রতি সমর্থন জানানোর বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে। সে কারণে এ নিয়ে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভির মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তানি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে। পিসিবির দায়িত্বে থাকলেও একইসঙ্গে তিনি প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। যদিও ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর বিষয়ে তিনি দায় চাপিয়েছেন করাচি প্রশাসনের ওপর।
মহসিন নাকভি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়ই প্রাদেশিক সরকার দেখবে। এজন্য তারা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। আমিও সরাসরি এ নিয়ে আদেশ দিতে পারি না। শুধুমাত্র নীতিমালা কি হবে সে বিষয়ে আলোচনা করতে পারি।’
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ