সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সৌম্যের কনকাশন সাব ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তবে দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এর মাঝেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন ছোট তামিম।
এরপর তামিম-মিরাজের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও শেষ পর্যন্ত রিশাদ ঝড়ে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ।
২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। অষ্টম ওভারে দলীয় ৫০ ছুঁয়ে ফেলেন দুজনে। তবে এরপরই ২২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত। তবে দলীয় ৫৬ রানে ৫ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন জুনিয়র তামিম। ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার ওপেনার।
হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। এরপর দ্রুত জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। হৃদয় ৩৬ বলে ২২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে মাত্র ১ করে সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম।
তবে দলীয় ১৩০ রানের মাথায় ৮১ বলে ৮৪ রান করে ফিরতে হয় তামিমকেও। তার বিদায়ে আরও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরে মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিয়েই দলীয় ১৭৮ রানে ফেরেন মেহেদী মিরাজ। ৪০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
এ অবস্থায় অনভিজ্ঞ রিশাদ হোসাইনকে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে ছুটতে থাকেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে সেই অনভিজ্ঞ রিশাদের ব্যাটিং ঝড়েই ৫৮ বলে হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
মিরাজ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন রিশাদ। তখনও জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিলো ৮৩ বলে ৫৮ রান। তবে রিশাদ নেমেই ছক্কা হাঁকান হাসারাঙ্গাকে। এই লেগ স্পিনারের আগের বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন মিরাজ।
এরপর একটি বল ডট দিয়ে পরের দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে পাঁচ বলেই ১৬ রান তুলে নেনে রিশাদ। ফলে ৭৮ বলে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৪২ রান। মুশফিক ও রিশাদ মিলে কুমারা ও থিকশানার করা পরের দুই ওভার থেকে আরও ১৫ রান আদায় করলে, জয়ের জন্য ৬৬ বলে প্রয়োজন দেখা দেয় ২৭ রানের।
এসময় ইনিংসের ৪০তম ওভারটি করতে আসেন লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা। আর তাকে পেয়ে যেন রীতিমত তাণ্ডব চালান রিশাদ হোসাইন। বিশাল দুটি ছক্কার পর টানা ৩টি চার হাঁকিয়ে পৌঁছে যান ১৭ বলে ৪৮ রানে। তবে ওভারের শেষ বলটি ডট দিতে বাধ্য হন রিশাদ।
যার ফলে দারুণ এক সুযোগ পেয়েও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটি ছোঁয়া হলো না তার। ৪৮ রানেই অপরাজিত থাকতে হয় তাকে। কারণ, পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ব্যাটের আলতো ছোঁয়ায় চার আদায় করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ৩৪ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক।
তবে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ঠিকই ম্যাচসেরা হন জয়ের নায়ক রিশাদ হোসাইন। অন্যদিকে, সেঞ্চুরিসহ মোট ১৬৩ রান করে সিরিজসেরা হন অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ