শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই বিপর্যয় থেকে দলকে জয়ের পথ দেখাতে শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন শতাধিক রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। সেই জুটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছেন শান্ত। ৫২ বলে ফিফটি করেছিলেন। সেই ফিফটি ১০৮ বলে সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান। উইকেটে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫০ বলে ১৪ রান।
২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ বাজে শুরু হয় বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশঙ্কার করা গুড লেংথ ও ব্যাক অব লেংথের মাঝামাঝি করা ডেলিভারি স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন এই ওপেনার।
লিটন গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরার পর টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলটি খাটো লেংথে করেছিলেন মাদুশঙ্কা। অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে অন সাইডে পুল করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। মিস টাইমিংয়ে ৩০ গজের বৃত্তের ভেতরে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন। ৯ বলে ৩ রান করে আউট হন সৌম্য।
দুই ওপেনার দ্রুত ফেরার পর দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাওহিদ হৃদয়ের ওপর। বিপদে দলের হাল ধরতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। উল্টো দ্রুত সাজঘরে ফিরে দলের বিপদ আরো বাড়িয়েছেন তিনি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে ছিলেন প্রমোদ মাদুশান। এই পেসারের করা গুড লেংথের ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেছেন হৃদয়। বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে ৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
২৩ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই দেখে-শুনে খেলে বড় জুটির দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে ৩৭ রানে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে লাহিরু কুমারাকে পুল করতে গিয়ে মাদুশঙ্কার হাতে ধরা পড়েন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা। ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে লিয়ানাগের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ