মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমার দুর্দান্ত ফিফটিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ২০৭ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলো শ্রীলঙ্কা। টাইগার বোলারদের অসহায় বানিয়ে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৩ উইকেটে ২০৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ে সফরকারীরা।
সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় টস জিতে বোলিং নিয়ে শুরুতেই চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। যার ফলে পাওয়ার প্লে-তেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জুটিতে সেই চাপ কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা।
একাধিকবার জীবন পেয়ে ফিফটিও তুলে নেন মেন্ডিস। তবে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তাকে সাজঘরের পথ দেখান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসাইন। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হন লঙ্কান ডানহাতি ব্যাটার।
ফেরার আগে তার উইলো থেকে আসে ৩৬ বলে ৫৯ রান, যে ইনিংসে ছিলো ছয়টি চারের সঙ্গে তিনটি ছয়ের মার। মেন্ডিসকে ফিরিয়েও অবশ্য স্বস্তি পায়নি বাংলাদেশ। এদিন বোলারদের ওপর রীতিমত ছড়ি ঘোরান লঙ্কান ব্যাটাররা।
মেন্ডিস ছাড়াও এদিন ফিফটি করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৪৮ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন ৮টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।
ফিফটি না পেলেও, ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২১ বলেই তুলে নেন ৪৪টি রান। যাতে শেষ পর্যন্ত ওই দুইশ ছাড়ানো স্কোর পায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আভিশকা ফার্নান্দোকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন শরিফুল ইসলাম। ২ বলে ৪ রান করে ফেরেন আভিশকা।
তার পরিবর্তে আসা কামিন্দু মেন্ডিস অবশ্য কিছুটা ঝলক দেখান। তবে তাকে থিতু হতে দেননি তাসকিন। পঞ্চম ওভারে ডানহাতি এই পেসারের বলে মিড উইকেটে থাকা সৌম্যর হাতে ক্যাচ দেন কামিন্দু। ১৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ রানে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন কুশল। থিতু হওয়ার পর হাতখুলে ব্যাটিং করতে শুরু করেন তিনি। ফিফটি স্পর্শ করেন মাত্র ২৮ বলে। তাতেই একশ রান পার করে শ্রীলঙ্কা। রিশাদ হোসেনের করা ১২তম ওভারে ১৭ রান আদায় করেন কুশল। পরের ওভারে অবশ্য খোলস ছেড়ে বের হন সামারাবিক্রমাও। যেখানে ২১ রান খরচ করতে হয় শরিফুলকে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ