প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর-বরিশাল। লিগ পর্বের দুই দেখায় একটি করে জয় পেয়েছে দল দুটি। টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন দাস। পরে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও জেমস নিশামের ৪৯ বলে ৯৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের সংগ্রহ গড়েছে রংপুর।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তানভির ইসলামের বলে আন্দ্রে রাসেলের মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন শামিম হোসেন। এরপর আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও ফেরেন পরের ওভারেই। ফলে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে রংপুর।

দুই ওপেনারকে হারিয়ে ক্রিজে তখন সাকিব আল হাসানকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন শেখ মাহেদী। তবে দলের বিপর্যয়ের সময় সাকিবও ইনিংস বড় করতে পারেননি। রাসেলের বলে বর্ষণের মুঠোবন্দী হয়ে ব্যক্তিগত ৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

এরপর কিবের বিদায়ে ক্রিজে মাহেদীর সঙ্গী হন নিশাম। দলের প্রয়োজনের সময় তখন দুজন মিলে গড়েছিলেন ৩৯ রানের জুটি। এ দুজনের ব্যাটেই তখন সংগ্রহ বাড়িয়ে নিচ্ছিল রংপুর। তবে দলীয় ৬৬ রানে সুনীল নারাইনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহেদী আউট হলে ভাঙে এ জুটি। এরপর ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। তবে তিনিও ফিরেছেন ১ চার এবং ১ ছয়ে ৯ বলে ১৪ রান করেই।

এদিকে একপ্রান্তে যাওয়া-আসা চলতে থাকলেও আজ ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন নিশাম। কুমিল্লার বোলারদের সামলে তিনি ঘুরিয়েছেন রানের চাকা। ৩১ বল খেলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে নিজের ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ৮ চার এবং ৭ ছয়ে ৪৯ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। ক্যারিবীয় এই তারকার শতক ছোঁয়া ইনিংসের সুবাদেই ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে রংপুর।

নয়া শতাব্দী/এসএ