ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তামিম-মায়ার্স ঝড়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল

প্রকাশনার সময়: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬

ক্যাচটা ফেলে দিয়ে কী করবেন যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না সৈকত আলী। চট্টগ্রাম সমর্থকদের চোখেও ছিল অবিশ্বাসের ছাপ। এরপর সময় যত গড়ালো, ম্যাচ থেকে ততোই ছিটকে পড়লো চট্টগ্রাম। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর তামিম-মায়ার্সের ব্যাটিং ঝড়ে রীতিমত বিধ্বস্ত হতে হলো তাদের।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় ফরচুন বরিশাল।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে চট্টগ্রাম। পরে ৩১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে, ২৮ ফেব্রুয়ারির প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দলের মুখোমুখি হবেন তামিমরা।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে গিয়ে তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। লিগ পর্বের শেষ দিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ৩ বলে ২ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এদিন একাদশে ফেরানো হয় উইকেটরক্ষক ইমরানুজ্জামানকে।

শেষে ফিরেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি ইমরান। ১৩ বলে ৭ রান করে কাভারে দাঁড়ানো মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে দুই উইকেটে কেবল ৪০ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। দলটির ভরসা হয়ে ছিলেন জশ ব্রাউন।

বিগ ব্যাশে মাতিয়ে বাংলাদেশে আসা এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কোয়ালিফায়ারেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। চট্টগ্রামের আরেক ভরসা টম ব্রুসও ১১ বলে ১৭ রান করে মেয়ার্সের বলে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।

এরপর দলটির হয়ে কিছুক্ষণ লড়াই করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ১৬ বলে ২৪ রান করে মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৬ বলে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি রোমারিও শেফার্ড। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মায়ার্স, দুই উইকেট পাওয়া সাইফউদ্দিনও সমান ওভারে সমান রান দেন।

রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট হারিয়ে বসে ফরচুন বরিশালও। শুভাগত হোমের বলে রিভার্স সুইপ করতে যান সৌম্য, কিন্তু তার গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। বরিশালকে ভালোভাবেই চেপে ধরার সুযোগ ছিল বরিশালের সামনে।

কিন্তু আল আমিন হোসাইনের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে তামিমের ক্যাচ ফেলে দেন সৈকত আলী। ম্যাচ থেকেও এরপর ধীরে ধীরে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ৫৪ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন তামিম ও মায়ার্স। শুভাগতর করা পঞ্চম ওভারে ২৬ রান নেন মায়ার্স।

ক্যারিবীয় এই ব্যাটার ২৬ বলে ৫০ রান করে বিলাল খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য গড়া হয়ে গেছে অনেকটাই। আরেক প্রান্ত আগলে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা তামিম ৪৩ বলে ৯ চারে করেন ৫২ রান।

পাঁচ বলে ৬ করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ম্যাচ সেরা হন কাইল মায়ার্সই।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ