শুরুতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দুর্বল দল ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে দলটি। তবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এই ম্যাচে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। যাতে কোয়ালিফায়ারে খেলতে তামিম-রিয়াদদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৩৬ রান।
মিরপুরে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৩ বলে ৭ রান করে তামিমের পথেই হাঁটেন ইমরানুজ্জামান।
এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন জশ ব্রাউন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডানহাতি ব্যাটার। ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ১১ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টম ব্রুস। দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে রানের গতি কিছুটা কমে যায় চট্টগ্রামের।
এরপর সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ১১ রান করে সৈকত আউট হলে, ১৬ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন শুভাগত।
১৬ বলে ১১ রান করে আউট হন রোমারিও শেফার্ডও। শেষ পর্যন্ত নাহিদুজ্জামানের ১৩ বলে ১০ রান এবং সালাউদ্দিন শাকিলের ১১ বলে ৮ রানে ভর করে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ৯ উইকেট হারানো চট্টগ্রাম।
ফরচুন বরিশালের হয়ে এদিন কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ওবেদ ম্যাকয় দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও তাইজুল ইসলাম নেন একটি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারকে হারায় বরিশাল। কোনো রান না করেই শুভাগতের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। যাতে মাত্র ২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তামিমের দল। তবে কাইল মায়ার্সকে সঙ্গী করে সেই ধাক্কা কাটিয়ে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটছেন অধিনায়ক।
চার ওভারে তাদের সংগ্রহ এক উইকেটে ৪০ রান। তামিম ২১ রানে এবং মায়ার্স ১৫ রানে ক্রিজে আছেন।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ