চলতি বছরের জুনের শুরুতেই মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসন্ন এই টৃুর্নামেন্টকে ঘিরে নিজেদের প্রস্তুতি সারছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে ঘিরে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও গত এক বছরে খেলোয়াড়দের দেখে নিয়েছেন। ২০২৩ সালের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে এক-দু’জনকে বাদও দেয়া হয়েছে।
চলমান বিপিএলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজের দলে ফেরানো হয়েছে এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখকে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় হোম সিরিজ পর্যন্ত চলবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে বিশ্বকাপ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেবেন হাথুরুসিংহে। ডালাসে তাবু ফেলবেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পাশাপাশি স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলতে।
বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুতির সিরিজ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেটি বড় দলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেও বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে আতিথেয়তা দেবে বিসিবি।
টাইগারদের প্রধান কোচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পের অংশ হিসেবে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে এই প্রস্তাবনা পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হলে সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেয়া হয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজের। বিসিবির প্রস্তাবে স্বাগতিক বোর্ডের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলে।
বিসিবির একটি সূত্র জানায়, ডালাসে যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে দেশটি। সিরিজ খেলা নিশ্চিত হলেও ম্যাচের দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
জুনে অনুষ্ঠেয় ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের আগে তারাও বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছিল। বিসিবির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে লুফে নেয়।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সিইও দেখেছেন। যেহেতু দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রস্তাবনা গেছে, সেহেতু ইতিবাচকই হওয়ার কথা। ওদেরও এইচপি বা ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলার সুযোগ দিতে হবে।’
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ