জয় দিয়েই এবারের বিপিএল আসর শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে প্লে-অফ খেলতে কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি হতে হয় তামিমের দলকে। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করল বরিশাল।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। যথারীতি আগে ব্যাট করে বরিশালকে ১৪১ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
এতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তামিম-রিয়াদরা। অন্যদিকে কপাল পুড়েছে খুলনার। এক ম্যাচ হাতে থাকলেও প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেল বিজয়ের দল।
এদিন ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য হোঁচট খায় বরিশাল। ৭ বলে ১ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। এরপর কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল।
২৫ বলে ২৫ রান করে মায়ার্স আউট হলেও ৪০ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিক। যদিও ২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন টাইগার এই ব্যাটার। এরপর ৪৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তামিমও। যাতে শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান।
শেষ পর্যন্ত প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো সৌম্য সরকারের ৩ বলে ৬ রান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান। এ ছাড়াও আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ এনামুল একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে দুর্দান্ত বোলিং করে টস হেরে ব্যাটে নামা কুমিল্লাকে চেপে ধরেন ম্যাকয়-তাইজুলরা। এদিন ওপেনে নামা সুনিল নারিন ১৮ বলে ১৬ রানে আউট হলে, ১২ বলে ১২ রান করে তার সঙ্গী হন লিটনও। তাইজুলের বলে বোল্ড হন এই টাইগার ব্যাটার।
ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। ৬ বলে ১ রান করে তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার হন এই তরুণ।
চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মঈন আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ২৬ বলে ২৫ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর মঈনকে সঙ্গে দেন আন্দ্রে রাসেল। ২২ বলে ২৩ রান করে মঈন আলী আউট হলে, ৯ বলে ১৪ রান করে তার পথেই হাঁটেন রাসেল।
ম্যাথিউ ফোর্ড (০) এবং এনামুল ৩ রান করে আউট হলে ব্যাট চালাতে থাকেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১৭ বলে ৩৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ৮ উইকেট হারানো কুমিল্লা।
ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। সাইফউদ্দিন ও ওবেদ ম্যাকয় নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়াও একটি উইকেট শিকার করেন আকিভ জাভেদ।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ