৪৬১ রানের একটি জমজমাট ম্যাচ উপহার দিলো ওয়েলিংটন। টি-টোয়েন্টির এই রান বন্যার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলো অজিরাই। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ বলে চার মেরে জয় উদযাপনে মাতে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েলিংটনে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবিন্দ্রর ব্যাটিং ঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১৫ রানের স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে শেষ বলের উত্তেজনা ছড়িয়ে ৬ উইকেটর জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্সের দল।
এদিন সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই পায় নিউজিল্যান্ড। মারকুটে ব্যাটিংয়ে মাত্র পাঁচ ওভারেই ৬০ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। দলীয় ৬১ রানের মাথায় ফিন অ্যালেন আউট হলেও থামেনি সেই ঝড়। মাত্র ১৭ বলে ৩২ করা অ্যালেন ফিরলে, ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন রাচিন রবিন্দ্র। সেইসঙ্গে বাঁহাতি ওপেনার ডেভন কনওয়ের সঙ্গে গড়েন ৬৪ বলে ১১৩ রানের দুরন্ত এক জুটি।
এরমধ্যে ৩৪ বলে ফিফটি আদায় করে স্কোর বড় করার লক্ষ্যেই ছুটছিলেন কনওয়ে। তবে মার্শের শিকার হয়ে তাকে ফিরতে হয় ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেই। যদিও তার আগেই মাত্র ২৯ বলে ফিফটি পূরণ করে কামিন্সের শিকার হন তরুণ রবিন্দ্র।
তার ৩৫ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে ছিল মাত্র ২টি চারের সঙ্গে ছয়টি বিশাল ছক্কা। আর সঙ্গী ফিরতেই যেন মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে কনওয়ের। পরের বলেই আউট হওয়া কিউয়ি ওপেনারের ইনিংসে ছিল পাঁচটি দর্শনীয় চারের সঙ্গে দুটি ছয়ের মার।
১৭তম ওভারে দলীয় ১৭৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারানোর পর বাকি পথটুকু নিরাপদেই কাটিয়ে দেন গ্লেন ফিলিপস ও মার্ক চ্যাপম্যান। দুজনে মিলে শেষ ২৩ বলে ৪১ রান যোগ করে দলীয় স্কোরকে নিয়ে যান ২১৫’র ঘরে।
যেখানে ফিলিপসের অবদান মাত্র ১০ বলে ১৯ এবং চ্যাপম্যানের অবদান ১৩ বলে ১৮। অজি বোলারদের মধ্যে স্টার্ক, কামিন্স ও মার্শ একটি করে উইকেট পান।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় অস্ট্রেলিয়াও। একে একে ঝোড়ো ব্যাটিং উপহার দেন মিচেল মার্শ, ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিশ, টিম ডেভিডরা। ১৭তম ওভারে ১৭৪ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারালেও মার্শ ও ডেভিডের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসিটা অজিরাই হাসে।
এক পর্যায়ে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ৩৫ রান দরকার পড়ে অজিদের। অ্যাডাম মিলনের করা ১৯তম ওভারে ১৯ রান তুলে নিয়ে সেই সমীকরণ অনেকটাই সহজ করেন টিম ডেভিড ও মার্শ। যার মধ্যে দুটি ছয়ের সঙ্গে একটি চার মারেন ডেভিড।
তবে শেষ ওভার করতে এসে প্রথম তিন বলে মাত্র ৪ রান দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন টিম সাউদি। তবে চতুর্থ বলে ছক্কা, পরের বলে দুই রান এবং শেষ বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন টিম ডেভিড। মাত্র ১০টি বল খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩২ রান করে।
অন্যদিকে, ৪৪ বল খেলা মিচেল মার্শ অপরাজিত থাকেন ৭২ রানের ইনিংস খেলে। তার এই ম্যাচজয়ী ইনিংসে ছিলো দুটি চারের সঙ্গে ৭টি বিশাল ছয়ের মার।
এছাড়া ট্রাভিস হেড ১৫ বলে ২৪, ডেভিড ওয়ার্নার ২০ বলে ৩২, ম্যাক্সওয়েল ১১ বলে ২৫ এবং জস ইংলিশ ২০ বলে ২০ রান করেন। কিউয়ি বোলারদের মধ্যে মিচেল স্যান্টনার ২টি এবং মিলনে ও ফার্গুসন একটি করে উইকেট লাভ করেন।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ