বিপিএলে আজ নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তানজিদ তামিম। সবধরণের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে এটি তার প্রথম শতক। ৬৫ বল খেলে রান করেছেন ১৬৬। বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশিদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটি। দুরন্ত তামিম এর মাধ্যমে নাম লেখালেন রেকর্ডবুকে।
চলতি বিপিএলে এটি তৃতীয় শতক। দেশীয়দের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। সেঞ্চুরি করেই অবশ্য থামেননি তামিম। নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন ১১৬ পর্যন্ত। এবারের বিপিএলে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
সামগ্রিকভাবে বিপিএলে এটি ৫ম সর্বোচ্চ স্কোর। সমান ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আরও দুজন। ক্রিস গেইল ও লেন্ডল সিমন্সের আছে ১১৬ রানের ইনিংস।
বিপিএলের দশটি আসরের মধ্যে এটি দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সবার ওপরে টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। এরপরেই আছে সাব্বির রহমানের ১২২।
বিপিএলের আগের নয় আসর এবং চলতি বিপিএলে তামিম, হৃদয় ও উইল জ্যাকের শতকসহ মোট ৩২টি সেঞ্চুরি হয়েছে। যেখানে পাঁচটি সেঞ্চুরির মালিক ক্যারিবিয়ান তরকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।
জনসন চালর্স ও তামিম ইকবালের রয়েছে দুটি করে শতক। এছাড়া বাকি রয়েছে একটি করে সেঞ্চুরি। তাই ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করে গেইলদের পাশেও বসেছেন জুনিয়র তামিম।
এদিকে, ডু অর ডাই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। এদিন চট্টগ্রামের জার্সিতে ডেব্যু হয়েছিল মোহাম্মদ ওয়াসিমের। তবে সেই ডেব্যু ছিল ভুলে যাওয়ার মতোই। এরপরেই যেন দলের স্কোর গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বগুড়ার এই ক্রিকেটার। ইনিংসের শুরু থেকেই এদিন বিধ্বংসী ছিলেন তামিম। ৭ চার আর ৭ ছয়ে ৫৮ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ৬৫ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ৮ ছয় আর ৮ চার দিয়ে।
তানজিদ যখন আউট হয়েছে, ততক্ষণে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১৭০ রান। তামিম এদিন চড়াও হয়েছেন প্রায় সবার ওপরেই। কোনভাবেই তাকে আটকানোর রাস্তা পায়নি খুলনার বোলাররা। প্রথম ১০ বলে ১০ রান করা তামিম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হয়েছেন। আর এই ঝড় বেশি দেখেছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং আরিফ আহমেদ। শেষ পর্যন্ত তাকে থামিয়েছেন ওয়েইন পার্নেল।
চট্টগ্রামও এগিয়ে গিয়েছে তার ওই বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদেই। ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৯২ রান।
নয়াশতাব্দী/একে/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ