ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

ভাগ্য নির্ধারণের ম্যাচে হারলো বরিশাল

প্রকাশনার সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩২

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। অন্যদিকে প্লে-অফে টিকে থাকতে আজকের ম্যাচে জিততেই হবে ফরচুন বরিশালকে। কিন্তু ভাগ্য সব সময় সঙ্গে থাকে না। দশম বিপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারতে হলো ফরচুন বরিশালকে।

আগে ব্যাট করতে নেমে আবু হায়দার রনি ফাইফারে কোন ঠাসায় বরিশালের ইনিংস থামে ১৫১ রানে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে ১ উইকেটের জয় পায় রংপুর।

টসে জিতে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন অধিনায়ক তামিম ও থমাস ব্যান্টন। শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম। তবে সেই ইনিংস বড় করতে দেননি সাকিব আল হাসান। দলীয় ৩৮ রানে সাকিবের ইনিংসের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ২০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন বরিশাল অধিনায়ক।

তামিম আউট হলে ব্যাটিংয়ে আসেন কাইল মায়ার্স। ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার থমাস ব্যান্টন। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিমও। এক বল পরেই সৌম্য সরকারকে বোল্ড আউট করেন আবু হায়দার রনি। এরপর একই ওভারের পঞ্চম বলে মায়ার্সকে ফিরিয়ে ওভার হ্যাটট্রিক করে এই টাইগার বোলার। এতে পাঁচ রানের ব্যবধানে চার ব্যাটারকে হারায় বরিশাল। সেখান থেকে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বরিশালের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৯ বলে ৯ রান করে ফিরে যা তিনিও।

ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে এসে মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করে ফাইফার পূরণ করেন রনি। ৮ বলে ৩ রান করেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিনের ১০ রান এবং ওবেদ ম্যাককয়ের ১২ বলে ১২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বরিশাল। রংপুরের হয়ে বল হাতে রনি নেন সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ব্রেন্ডন কিং ও মুমিনুল হক। উইকেটে এসেই ঝোড়ো গতিতে রান তোলেন কিং। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মুমিনুলককে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মেয়ার্স। পরে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন কিং। পাওয়ার প্লের শেষ বলটি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ফিরে যান কিং। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৪৫ করেণ তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট বিলিয়ে দেন সাকিব, নুরুল হাসান ও শেখ মাহেদী। তাতে স্নায়ুচাপে পড়ে দলটি। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন নিশাম ও মুরস। তাদের জুটিতে বিপদ থেকে উদ্ধার হয় রংপুর।

তবে তাদের বিদায়ে আবারো বিপর্যয়ে পড়ে নুরুলের দলটি। শেষ উইকেটে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন হাসান মাহমুদ। তাতে ১ উইকেটের জয় পায় রংপুর। বরিশালের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ ও ম্যাককয়।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ