চলতি বিপিএলের বিরতির দিনে অনুশীলনকালে মাথায় বলের আঘাত লেগে হাসপাতালে যেতে হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ম্যাথু ফোর্ডের খেলা শট তার মাথায় লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফিজ। ওই সময় লিটন দাসকে নেটে বল করে বোলিং মার্কে ফিরছিলেন বাঁহাতি পেসার।
মাথায় আঘাত লাগার পর মুস্তাফিজকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জানা যায়, পাঁচটি সেলাই পড়ে বোলারের মাথায়। এখন তার কী অবস্থা?
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিও জাহিদুল ইসলাম সজল চট্টগ্রামে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘লেসারেশন হয়েছিল লেফট সাইডে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইমার্জেন্সিতে টেক কেয়ার করি। এরপর সিটি স্ক্যান সম্পন্ন করি। সিটি স্ক্যানে কোনো ইন্টারনাল ব্লিডিং পাওয়া যায়নি। ইনজুরি যেটা ছিল, সেটি এক্সটারনাল ব্লিডিং।’
পরবর্তী অবস্থার বর্ণনায় ফিজিও জাহিদুল বলেন, ‘এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মাথার চারদিকে সেইভ করে সার্জিকাল ইনসিশন দেওয়া হয়। একজন নিউরোসার্জন তাকে দেখেছেন এবং সার্জিকাল ইনসিশন শেষে উনি পর্যবেক্ষণ রুমে আছেন।’
মুস্তাফিজের মাথায় মোট পাঁচটি সেলাই লেগেছে বলেও জানান এই চিকিৎসক। পেসারকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সেইসঙ্গে মুস্তাফিজকে নিয়ে স্বস্তির খবরই দেন কুমিল্লার চিকিৎসক সজল। মুস্তাফিজ কথাও বলতে পারছেন বলে জানান তিনি।
কুমিল্লার এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, উনি কোনো ধরনের শঙ্কার ভেতরে নেই। উনি কথা বলতে পারছেন, উনার নিজের নাম উনি বলতে পারছেন। সকল ব্যাপারে কমিউনিকেশন করতে পারছেন। উনি এখনও বড় রকমের কনকাশনে আক্রান্ত হননি।’
মুস্তাফিজকে ঢাকায় নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি-না, জানতে চাইলে ডাক্তার সজল বলেন, ‘এখানে আমরা নিউরোসার্জনকে যেহেতু পেয়েছি। সিটি স্ক্যান যেহেতু নরমাল আছে। ঢাকাতে আমরা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে আপডেট রাখছি। সকল পেপার আমরা ঢাকাতে ফরোয়ার্ড করেছি। ডাক্তার দেবাশীষ উনার সিটি স্ক্যান পেপারগুলো দেখেছেন। আমরা এখনও ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে যাইনি।’
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ