এবারের বিপিএলে সবার আগে প্লে অফ খেলা নিশ্চিত করলো রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৮ রানে হারিয়েছে রংপুর। এতে দশ ম্যাচ খেলে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে সাকিব-সোহানরা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তুলে রংপুর। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ১৮ রানের জয় নিয়ে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন জশ ব্রাউন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সৈকত আলীও। ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। ১৬ বলে ১৩ রান ফিরে যান আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। পঞ্চম উইকেটে শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন টম ব্রুস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৯ বলে ২১ রান করে শুভাগত আউট হলে, ২৪ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ব্রুস।
১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন জিয়াউর রহমান। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন রোমারিও শেইফার্ড। শেষ ১৮ বলে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬২ রান। দ্রুত রান তুলতে চেষ্টা করেন শেফার্ড। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এডানহাতি ব্যাটার। ১৮তম ওভারে হাসান মাহমুদকে টানা তিন ছক্কা মেরে ২৩ রান তোলেন তিনি।
শেষ ওভারে চট্টগ্রামের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান। তবে প্রথম চার বলে দুটিতে রান তুলতে না পারায় ম্যাচ শেষ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ৩০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জিতাতে পারেনি শেফার্ড। এতে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম।
রংপুরের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ডোয়েন পিটোরিয়াস। এ ছাড়াও শেখ মাহেদী দুটি এবং হাসান মাহমুদ এক উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন রনি তালুকদার। তার ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংসে ২ চারের পাশাপাশি ছিল দুটি ছক্কার মার। তবে আরেক প্রান্তে শট খেলতে বেশ ভুগেছেন রেজা হেন্ড্রিকস। ১১ বলে ৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ব্যান্ডন কিংও। ৯ বলে মাত্র ২ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু রংপুর শিবিরে হাল ধরেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৯ বলে ৫ রান করে সোহান আউট হলে সাকিবকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী।
১৫তম ওভারে জিয়াউর রহমানের বলে পর পর তিন ছক্কা মারেন মাহেদী। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। ১৫ বলে ৩৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন মাহেদী। বিলাল খানকে ছক্কা হাঁকাদে গিয়ে নিজের স্ট্যাম্প বিলিয়ে দেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ