প্রথম দিকে চলমান বিপিএলে মিরপুরের উইকেটে রান না হওয়ার অভিযোগ করে আসছিল ক্রিকেটাররা। তবে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের ম্যাচে রংপুরের ডবল সেঞ্চুরির পর বরিশালও সৌম্য-রিয়াদের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় দুর্দান্ত ঢাকাকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা যেন পাত্তাই পেল না। বরিশালের কাছে তারা ৪০ রানে হেরেছে। চলতি বিপিএলে যা ঢাকার টানা অষ্টম হার।
ব্যাট করতে নেমে প্রথমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তামিমের দল। তারপরও সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায় তামিমের বরিশাল। সেই লক্ষ্য তাড়া করার মতো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি কেউ। বিদেশি ব্যাটার অ্যালেক্স রস ছাড়া কয়েকজন দুই অঙ্কের ঘর ছুঁলেও, তা ছিল ওয়ানডে ঘরানার। সবমিলিয়ে অলআউট হওয়ার আগে তাদের দৌড় ১৪৯ রান পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান তোলা দলটি পরের ওভারে ওপেনার সাব্বির হোসেনকে হারায়। এরপর মোহাম্মদ নাঈম শেখ থিতু হতে থাকলেও, ব্যক্তিগত মাত্র ১০ রানে তিনিও খেই হারান। দ্রুত উইকেট হারাতে থাকা দলটি পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তোলে ৪১ রান। পরের ওভারে সাইফ হাসানকে (১২) হারাতেই তারা আরও গভীর খাদে পড়ে যায়। সেই খাদ পূরণের দায় নিয়ে রসের সঙ্গে জুটি বাধেন এসএম মেহেরুব। রস স্বভাবসুলভ শট খেললেও, মেহেরুব হাত খুলতেই পারছিলেন না।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বছর বয়সী এই তরুণ ২৯ বলে ২৮ রান করেন। আস্কিং রানরেট জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকায় তখন ঢাকার হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল পরবর্তী ২১ রানে ঢাকার আরও ৪ উইকেটের পতন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রস। যদিও ১৯তম ওভারে তিনি বিদায় নেন। তার আগে ৩০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় রস করেন ৫২ রান।
মাঝে একটি ছয় ও চারের বাউন্ডারিতে ব্যবধান কমিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ১৯.৪ ওভারেই তার দল ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী মিরাজ ও ওবেদ ম্যাককয়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ