নিশাম ও হেনড্রিকসের ফিফটি এবং রনি-সাকিব-সোহানদের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএলের চলতি আসরে সর্বোচ্চ রানের স্কোর গড়ে রংপুর রাইডার্স। যে রানপাহাড়ে চাপা পড়ে ৫৩ রানের ব্যবধানে হেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালঞ্জার্স।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে চট্টগ্রামের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে সোহানের দল। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারালেও ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি শুভাগত-শাকিলরা।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে বোল্ড হন জশ ব্রাউন। ৯ বলে ১০ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে সৈকতকে সঙ্গ নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন টম ব্রুস।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি তিনিও। ১৩ বলে ১৪ রান করে ইমরান তাহিরের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ব্রুস। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাহাদত হোসাইন দিপুও। ১৩ বলে ৯ রান করে সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দেন এই তরুণ। এতে দলীয় ৫০ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হরিয়ে বসে চট্টগ্রাম।
কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন সৈকত আলী। ৪২ বলে নিজের ফিফটিও তুলে নেন এই ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আইরিশ ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফার। দুজনের ব্যাটে ভর করে লক্ষ্য পানে ছুটতে থাকে বন্দর নগরীর দলটি।
শেষ চার ওভারে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৪ রান। ১৭তম ওভারে জেমি নিশামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন ক্যাম্ফার। ২১ বলে ২৪ রান করেন এই আইরিশ ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবে শেষ দুই ওভারে চট্টগ্রামে দরকার পড়ে ৭০ রান। তাই তড়িঘড়ি করতে গিয়ে ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হন সৈকত। ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি।
আর এই ব্যাটারকে হারিয়ে শেষ ৬ বলে ৬৭ রানের সমীকরণটা মেলানো সম্ভব হয়নি চট্টগ্রামের। শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোমের ১২ বলে ৩০ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ৫৩ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সাকিব আল হাসান ও জেমি নিশাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে জোড়া ফিফটি পায় রংপুর। ৪১ বলে ৫৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন রিজা হেনড্রিকস। অন্যদিকে ২৬ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন কিউয়ি ব্যাটার জিমি নিশাম।
এছাড়া রনি তালুকদার ১৭ বলে ২৪, সাকিব ১৬ বলে ২৭ এবং ২১ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রংপুর অধিনায়ক।
চট্টগ্রামের হয়ে এদিন বেধড়ক মার খান বল হাতে আসা প্রায় সবাই। এর মাঝেও ১৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন সালাউদ্দিন শাকিল।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ