এবারের বিপিএলে নামে ঢাকা নামে দুর্দান্ত হলেও খেলায় ছিল তারা একেবারে যাচ্ছেতাই। বিপিএলের অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাই তাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। শেষদিকে হৃদয়ের সেঞ্চুরি উদযাপনে জমা হলো কিছু রোমাঞ্চ। তার ঝড়ো ও অনবদ্য শতকে ভর করে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে চাপে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সই হাসলো জয়ের হাসি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় দুর্দান্ত ঢাকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় লিটন-হৃদয়রা।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে টেবিলের দুইয়ে। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ৭ হারে একেবারে তলানিতেই জায়গা পোক্ত করে নিয়েছে রাজধানীর দলটি।
এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় কুমিল্লা। ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে কাঁটা পড়লে, ৯ রান করে রান আউট হন উইল জ্যাকস। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ৩ বলে ১ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে চতুর্থ উইকেটে ডেভিড গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লার হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয়।
দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কুমিল্লা। এরমধ্যে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। তবে ৩৫ বলে ৩৪ রান করে গেস্ট আউট হওয়ার পর রেমন রেইফার ৪ বলে ৬ রান আউট হলে, রানের গতি কিছুটা থমকে যায় কুমিল্লার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন হৃদয়। শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান।
১৮তম ওভারে শরিফুলকে ভালোভাবেই সামাল দিয়ে ১৫ রান তুলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেন হৃদয়। সেই সঙ্গে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাও তুলে নেন এই টাইগার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার ৫৭ বলে হার নামা ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। এদিন পুরো মিরপুর গর্জে উঠলো ‘হৃদয়’ ‘হৃদয়’ স্লোগানে। প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে চাপে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সই হাসলো বিজয়ের হাসি।
দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে দুই উইকেট শিকার করে সেরা বোলার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও আরাফাত সানি ও ডি সিলভা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় ঢাকা। ৩ চারে ১৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। তিন নম্বরে খেলতে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান সাইফ হাসান। সেখান থেকেই নাঈম শেখের সঙ্গে গড়েন শতরান ছাড়িয়ে যাওয়া এক অনবদ্য জুটি। মুস্তাফিজের এক ওভারে তো ২২ রান নেন তারা।
নাঈম-সাইফের এমন জুটিতে দলও পায় বড় রানের ভিত্তি। আগের সাত ইনিংসে দেড়শ ছাড়াতে পারেনি ঢাকা। এদিন তারা করে ১৭৫ রান। এর পেছনে নাঈম-সাইফের ৭৮ বলে ১১৯ রানের জুটির ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বেশি। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪২ বলে ৫৭ রান করে প্রথমে ম্যাথু ফোর্ডের বলে ৪২ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন সাইফ।
একই বোলারের ওভারে সাজঘরে ফেরত যান ৯ চার ও এক ছক্কায় ৪৫ বলে ৬৪ রান করা নাঈম শেখও। শট খেলার পর ব্যাট স্টাম্পে লাগিয়ে হিট উইকেট হন এই ব্যাটার। শেষদিকে নেমে অ্যালেক্স রস ১১ বলে ২১ ও এসএম মেহরব ৮ বলে ১১ রান করেন।
নয়া শতাব্দী/এসএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ