চলমান বিপিএলে প্রায় প্রতিটি দলই ৬-৭টা করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তবে একটি করে জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে জায়গা করে নিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। নিজেদের প্রথম মোকাবিলায় হারলেও, আজ প্রতিশোধ নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় রাজধানীর দলটি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে দুর্দান্ত ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এ ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসাইন না থাকায়, দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ।
টাইগার পেসারের নেতৃত্বে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। অভিষেক ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাব্বির হোসাইন। মাত্র ৪ বল খেলে ৪ রান করে নাঈম হাসানের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন এই তরুণ।
সেই নাঈমকেই পরের ওভারে তিনটি চার ও এক ছক্কায় উড়িয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন সাইফ হাসান। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ৩২ বলে ৪৮ রান যোগ করে ঢাকাকে এগিয়ে নিতে থাকেন এই সিলেটি। যাতে পাওয়ার প্লে-তেই পঞ্চাশ পার করে রাজধানীর দলটি।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। সাইফ হাসান বেনি হাওয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে করেন ৩২ বলে ৪১ রান। সঙ্গীকে হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাঈমও। ২৯ বলে ৩৬ রান করে সামিত প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যালেক্স রসও। ৫ রান করে আউট হন এই অজি ব্যাটার। ১৩ বলে ১০ রান করে আউট হন সাইম আয়ুব। ১০ বলে ৮ রান করে ফেরেন ইরফান শুক্কুরও।
অর্থাৎ দারুণ শুরুর পরও শেষ পর্যন্ত লাসিথ ক্রসপুলের ১২ রান এবং তাসকিন আহমেদের ৬ রানে ভর করে ১২৪ রানের নিম্নমানের পুঁজি পায় দুর্দান্ত ঢাকা।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন রেজাউর রহমান রাজা। সামিত প্যাটেল নেন দুটি উইকেট। এ ছাড়াও নাইম হাসান ও বেনি হাওয়েল একটি উইকেট শিকার করেন।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ